সোনাগাজীবাসীর কাংখিত ‘ছোট ফেনী নদী সেতু’ উদ্বোধন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৪৮
সোনাগাজীবাসীর দীর্ঘদিনের কাংখিত “ছোট ফেনী নদীর সেতু” চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সভাকক্ষে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সেতুটি সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউপির সাহেবের ঘাট সংলগ্ন ছোট ফেনী নদীর উপর অবস্থিত হলেও এটি বাস্তবায়ন করেন নোয়াখালীর সড়ক ও জনপদ বিভাগ। নির্মান শেষে সেতু চালু হওয়ায় সোনাগাজীবাসী উন্নয়নে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো।
এর ফলে সোনাগাজী উপজেলার সাথে পাশ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার সড়ক যোগাযোগের নতুন দ্বার উম্মোচিত হলো।এ একটি সেতুর জন্য গত অর্ধযুগ ধরে সোনাগাজী উপজেলার সাথে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো।দূর্ঘম উপকুলীয় অঞ্চল হওয়াতে সোনাগাজীর সাথে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও দুই জেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো নৌকা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে,অতিতে সেতুটি নির্মাণে বহু প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও কেউ বাস্তবে রুপ দিতে পারেনি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বীতিয় মেয়াদে সরকার গঠন করলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক সোনাগাজীর বাসিন্দা জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা সেতুমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত সদিচ্ছায় সেতুটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।
সেতুটি চালু হওয়ায় এবং সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরারগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মান কাজ শেষ হলে চট্রগ্রাম অভিমুখি লক্ষীপুর, নোয়াখালীর গাড়ীগুলো সেতুটি ব্যবহার করবে। তখন লক্ষীপুরের সাথে চট্রগ্রামের দুরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমার পাশাপাশি ফেনীর মহিপালে গাড়ীর চাপ ও যানজট অনেক কমে যাবে।
জানা গেছে, সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরারগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মান কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রানা বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে দৈনিক সমকালে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশিত হলে নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগ দ্রুত বিষয়গুলো সমাধান করে বলে জানিয়েছে নির্বাহী প্রোকৌশলী বিনয় কুমার পাল।
তিনি বলেন, ৪৭৮মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্তের সেতুটির নির্মান কাজ ২০১৬ সালে শুরু হয়ে চলিত বছরের অক্টোবর মাসে শেষ হয়।সেতুটির নির্মানে ব্যয় হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। সমকালে সংবাদ প্রাশের পর সেতুর সংলগ্ন স্থান থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। সেতুটির নকশায় সড়কবাতি না থাকায় নোয়াখালী ও ফেনী জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সড়কবাতি অতিদ্রুত স্থাপন করা হবে।
এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ