আজকের শিরোনাম :

কটিয়াদীতে মায়ের মামলায় ছেলের গ্রেফতারী পরোয়ানা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মে ২০১৮, ১৪:২৮

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) , ২১ মে, এবিনিউজ : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মায়ের দায়ের করা মামলায় ছেলে কামরুল হাসান (২৬) এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা জজ আদালত। ১৩মে দায়ের করা মামলায় এই ঘোষনা দেয় আদালত। 


জানা যায়, কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের পাঁচগাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেন ও জেসমিন আক্তর দম্পতি। সোহরাব উদ্দিন একজন কৃষক আর জেসমিন আক্তার স্থানীয় পাঁচগাতিয়া ইঞ্জিনিয়ার এম এ মান্নান মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় আয়া পদে চাকুরী করছেন। এক প্রতিবন্ধী ছেলেসহ ২ছেলে ও ২মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মোঃ কামরুল হাসান । গত ২বছর আগে কামরুল বিদেশ যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। মা বাবার উপার্জনের সঞ্চিত অর্থ, ধার দেনা ও সুদে টাকা এনে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ করে কুয়েতে যায়। প্রবাসে থাকা অবস্থায় কামরুল ঋণের ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন । পরিবারে টাকা না দিয়ে এরপর থেকে শ্বশুরবাড়ীতে টাকা পাঠানো শুরু করে কামরুল। এদিকে দেনাদারের চাপের কারনে স্বামী সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পরেন জেসমিন আক্তার।

 

গত ২ মাস পূর্বে কামরুল বাড়িতে না এসে শ্বশুরবাড়ীতে উঠেন এবং স্ত্রীকে নিয়ে সদর উপজেলায় বাসা ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা সদরে জমি কিনে নিজস্ব বাসা করার জন্য মা জেসমিন আক্তারকে চাপ দিতে থাকেন। এমনকি বাড়ি বিক্রি করে টাকা দিতে বলে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মা জেসমিন আক্তারকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে। এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এলাকাবাসীর এগিয়ে এলে কামরুল পালিয়ে যায়। ছেলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে মা জেসমিন আক্তার ১৩ মে কিশোরগঞ্জ জেলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করে। 

 

জেসমিন আক্তার বলেন, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে বড় করেছি । সুখের আশায় ধারদেনা করে ৮ লক্ষ টাকা খরচ করে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। এখন ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরছি। সে আবার কটিয়াদীতে বাসা করার জন্য জমি বিক্রি করে টাকা দিতে বলে। এতে আমরা রাজী না হওয়ায় সে আমাদের কে হত্যা করতে চায় । নিরুপায় হয়ে জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। 

এবিএন/ রাজীব সরকার পলাশ/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ