আজকের শিরোনাম :

বাগমারায় বাড়ি পেল ৩৬৬ গৃহহীন পরিবার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ২২:২৭

রাজশাহীর বাগমারায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩৬৬ গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে সরকার।  ঘরের পাশাাশি একটি করে টয়লেট নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে তাদের।  বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের অধীন ‘যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।

দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার নিমিত্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহান উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শত কষ্টের মধ্যেও ঘর পেয়ে আনন্দিত গৃহহীণরা। যাদের মাথা গোঁজবার মত সামান্য ঠাঁই ছিল না তারা পেয়েছেন ঘর। জীবনের নিরাপত্তায়, পরিবারের নিরাপত্তায় যাদের ছিল সংশয় তারা এখন ঘরের মালিক। ঘর পেয়ে সকলের মুখে স্ফীত হাসি মাঝে মাঝে মুখ থেকে বের হয়ে ঠিকরে পড়ছে আনন্দের ফোয়ারা। যে আনন্দে শান্তির ঘুমে নিদ্রা যাপন বা বসবাস করবেন এক সময় গৃহহীন বলে অবহেলিত মানুষজন। এখন গৃহ প্রাপ্তির নতুন পরিচয়ে বাঁচবেন এবং স্বপ্ন দেখবেন তারা।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের অধীন ‘যার জমি আছে ঘর নাই’ তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অত্র উপজেলার  কয়েকটি ইউনিয়নে ৩শত ৬৬ গৃহহীন পরিবারকে একটি করে আধাপাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর টয়লেটসহ নির্মাণে ব্যয় হয় ১ লাখ টাকা করে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) সভাপতি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়।

শেখ হাসিনা আমাদের আরেকটি অভিভাবক। আমাদের ঘর নেই শেখ হাসিনা আমাদের দুঃখ অনুুভব করতে পেরে ঘর উপহার দিয়েছে। ঘর না থাকায় অনেক কষ্ট করে প্রতিটি রাত পার করতে হয়েছে আমাদের। যার ঘর নাই সেই বুঝে ঘর না থাকার কষ্ট। অনেক কষ্ট দিন পার করলেও কেউ ঘর বানিয়ে দেয়নি।

শেখ হাসিনার কারনে আমরা ঘর পেয়েছি খুঁজে পেয়েছি নতুন করে স্বপ্ন দেখার দিন। শেখ হাসিনার দেয়া ঘর পেয়ে এমনই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করছিলেন উপজেলার কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের কাচারী কোয়ালীপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী রশুনারা বেগম। স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে কত কষ্টে দিন পার করতেন তা বলতে ভাষা হারিয়ে ফেলছিলেন।  নেই তেমন জায়গা। সামান্য যে টুকু জমি আছে তাতেও ঘর করার সামর্থ ছিলনা আবুলের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘরে বর্তমানে বসবাস করে চলেছেন তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন একই গ্রামের অসির উদ্দীন শাহ। তিনি বলেন আমাদের কোন ভাবেই নতুন ঘর করার সামর্থ নেই। আমাদের খুঁজে বের করে ঘর নির্মান করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। তারা বলেন, এখন থেকে নিজের মতো করে পরিবার নিয়ে ঘরে থাকব এর চেয়ে খুশি আর কি হতে পারে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সফলতার সহিত যাদের জমি আছে ঘর নেই এমন ব্যক্তিদের গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।   

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এর সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম বলেন, যার জমি আছে ঘর নেই, এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে গৃহনির্মান করে দেয়া হচ্ছে। কেউ যাতে এ সকল দুখী মানুষের ঘর নিয়ে ফায়দা হাসিল করতে না পারে সে জন্য সঠিক ভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের ঘর নির্মাণে উপজেলার কোথাও কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। যারা গৃহহীন আমরা তাদেরকেই গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছি।

বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ ব্যাপি গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে চলেছেন। সেই আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গৃহ নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। পর্যায় ক্রমে উপজেলার সকল গৃহহীনকে সরকারী অর্থায়নে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।  

এবিএন/জিল্লুর রহমান/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ