সংবাদ প্রকাশের পর
সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করলো আওয়ামী লীগ নেতা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৫০
দৈনিক সমকাল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে টনক নড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের তৎপরতায় সোনাগাজী উপজেলার ছোট ফেনী নদীর উপর নির্মাণাধীন সাহেবের ঘাট সেতু সংলগ্ন স্থান থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করলেন মেসার্স রুহুল আমিন এন্টারপ্রাইজ। তিনি সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা।
গত ১৯ অক্টোবর দৈনিক সমকাল পত্রকিার লোকালয় পাতায় “বালু উত্তোলনে ঝুঁকিতে নির্মাণাধীন সেতু” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরদিন “নদীতে বালু উত্তোলন, এদের থামাতে হবে” শিরোনামে সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হলে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।
জানা গেছে, সংবাদ প্রকাশের পর ফেনী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সোহেল পারভেজকে নির্দেশনা প্রদান করে।
সেতু সংলগ্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলনের সংবাদ সমকালে প্রকাশের পর সেতু নির্মাণের তদারকি প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রোকৌশলী বিনয় কুমার পাল বালু উত্তোলন বন্ধ করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ফেনী জেলা প্রশাসক বরাবরে মৌখিক ও লিখিতভাবে অনুরোধ করে।
সরজমিনে দেখা গেছে, সংবাদ প্রকাশের পর মেসার্স রুহুল আমিন এন্টারপ্রইজ সেতু সংলগ্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখে। প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারনে গত কয়েকদিন পূর্বে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিনটি সেতুর এক কিলোমিটার এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলে। এর পূর্বে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে এলাকাবাসীর অনুরোধ ও সেতু কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আমলে না নিয়ে পেশী শক্তির ভয় দেখিয়ে গত দেড় বছর ধরে অবৈধ প্রক্রিয়ায় বালু উত্তোলন করছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন।।যার কারনে নির্মাণাধীন সেতুটি চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়ে এবং সেতু সংলগ্ন অনেক স্থান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতু সংলগ্ন ব্লকের ৫০ মিটার অংশ।বহু কৃষকের ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষি জমি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ভুমিতে বালু উত্তোলনের ইজারা প্রদান করায় জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের চরম ক্ষোভ প্রকাশ ও হতাশা ব্যক্ত করেছে।তারা অবিলম্বে ইজারা বাতিলের দাবী জানান।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল পারভেজ, নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রোকৌশলী বিনয় কুমার পাল বলেন, সেতু সংলগ্ন স্থান থেকে কেউ যেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে না পারে তার জন্য সবসময় প্রয়োজনীয় তদারকি অব্যহত থাকবে। সেতুর এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি।এখন থেকে কেউ আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/রাজ্জাক
এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ