চট্টগ্রামে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার : শ্বাসরোধে হত্যা ধারণা পুলিশের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৫২
চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানা পাঠানটুলি এলাকা থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই এলাকার পশ্চিম মগ পুকুর পাড়ের গায়েবী মসজিদের বিপরীতে আবদুল হালির মালিকানাধীন দোতলা বাড়ির নিচতলায় পাশাপাশি দুটি ঘর থেকে মা মেয়ের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন মা হোসেনে আরা (৪৭) ও মেয়ে পারভিন (২৩)। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছে দুজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এলাকাবাসির কাছে জানা যায়, মতিন রিকশাচালক। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে। আর পারভীন নগরীর চৌমুহুনি এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনার পাশেই অপর একটি ভাড়া বাসায় বাস করেন নিহত হোসনে আরার মেজ মেয়ে রেশমী আক্তার ও তার স্বামী সাইফুল আলম। ঘটনাস্থলে তাদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে মতিনের সঙ্গে বিয়ে হয় পারভিনের। বিয়ের পর মতিন পারভিনকে নিয়ে সিলেটে অবস্থান করলেও চলতি মাসের ১ অক্টোবর তারা পাঠানটুলি গায়েবী মসজিদের বিপরীতে মগপুকুর পাড় এলাকায় তারা ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছে। চট্টগ্রাম এসে পেশা হিসেবে রিকশা চালানোকে বেচে নেন মতিন। এ পেশার ফাঁকে মতিন মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। আর এ নিয়ে তাদের সংসারে বেশ কয়েকদিন ধরে সংসারে অশান্তি চলছিল। তাদের সংসার নিয়ে তার শ্বাশুড়ি হোসনে আরাও প্রতিবাদ করে। তাদের ধারণা মাদকে আসক্ত মতিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে দুজনকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম জোড়া লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতে অথবা মঙ্গলবার ভোরে কোন এক সময় দুজনকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন পারভিনের স্বামী মতিন নিজের স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে মতিন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়ে ওসি জানান, পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা
হত্যাকান্ডের ঘটনার পাশেই অপর একটি ভাড়া বাসায় বাস করেন নিহত হোসনে আরার মেজ মেয়ে রেশমী আক্তার ও তার স্বামী সাইফুল আলম। ঘটনাস্থলে তাদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে মতিনের সঙ্গে বিয়ে হয় পারভিনের। বিয়ের পর মতিন পারভিনকে নিয়ে সিলেটে অবস্থান করলেও চলতি মাসের ১ অক্টোবর তারা পাঠানটুলি গায়েবী মসজিদের বিপরীতে মগপুকুর পাড় এলাকায় তারা ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছে। চট্টগ্রাম এসে পেশা হিসেবে রিকশা চালানোকে বেচে নেন মতিন। এ পেশার ফাঁকে মতিন মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। আর এ নিয়ে তাদের সংসারে বেশ কয়েকদিন ধরে সংসারে অশান্তি চলছিল। তাদের সংসার নিয়ে তার শ্বাশুড়ি হোসনে আরাও প্রতিবাদ করে। তাদের ধারণা মাদকে আসক্ত মতিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে দুজনকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম জোড়া লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতে অথবা মঙ্গলবার ভোরে কোন এক সময় দুজনকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন পারভিনের স্বামী মতিন নিজের স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে মতিন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়ে ওসি জানান, পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ