আজকের শিরোনাম :

মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ

মা‌নিকগ‌ঞ্জে মৌসুমী জেলেদের ভীড়ে প্রকৃতরা হতাশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৪৩

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে রবিবার মধ্য রাত থেকে নদীতে ফিরেছে জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার পর মানিকগঞ্জের পদ্মা যমুনায় মৌসুমী জেলেরা নৌকা জাল দড়ি নিয়ে ইলিশ শিকারে মেতে উঠায় প্রকৃত জেলেরা হতাশা গ্রস্থ্য হয়ে পড়েছে। নদীতে ফেলা জালে কাঙ্খিত পরিমান মাছ না উঠায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অনেকে প্রকৃত মৎসজী‌বি।

আজ মঙ্গলবার সকালে মা‌নিকগঞ্জ জেলার সর্ববৃহৎ শিবাল‌য়ের আরিচা ও পাটুরিয়া মৎস্য আড়তে উঠা ইলিশের চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়। ইলিশের প্রজনন মওসুমে কাঙ্খিত দামে মাছ না পাওয়ায় গোমরা মুখে ফিরেছে অনেকেই।

জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষায় গত ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার সরকারীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর নানামুখী উদ্যোগ গ্রহন করে। জেলার পদ্মা যমুনা বক্ষে প্রায় দেড়শ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারী থাকলেও চোরা শিকারীরা ছিল বেশ তৎপর।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সময় মা‌নিকগ‌ঞ্জে অভিযানে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে ৩ শতাধিক ইলিশ চোরা শিকারী। এরা অধিকাংশ মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। উদ্ধার করা হয় ৩ টনের অধিক ইলিশ। যা বিভিন্ন এতিমখানা, মাদ্রাসা, জেলখানাসহ ধাতব্য প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়। জব্দকৃত প্রায় ৮০ লাখ ঘন মিটার অবৈধ কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এখন পদ্মা যমুনায় ইলিশ শিকারীদের ইঞ্জিন চালিত শত’শত ডিঙ্গী নৌকা। প্রতিটি নৌকায় রয়েছে সুলার তৈরী ককসিট। ব্যবহার হচ্ছে লাখ লাখ ঘনমিটার অবৈধ কারেন্ট জাল। বহরে প্রকৃত জেলেদের চাইতে মৌসুমী জেলেদের সংখ্যাই বেশি। শত শত ডিঙ্গী নৌকার ভিড়ে দেখা মিললো প্রকৃত জেলেদের হাতে গোনা কয়েকটি বড় নৌকার।

নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ শিকার করতে আসা কয়েক জেলে অভিযোগের সুরে জানায়, মৌসুমী চোরা শিকারীরা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে চুক্তি করে প্রতি রাতে নদীতে জাল ফেলে শত’শত মন ইলিশ ধরেছে। যার ফলে অভিযানের পরে নদীতে তেমন মাছ মিলছে না।

এবিএন/‌মো: সো‌হেল রানা খান/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ