জকিগঞ্জে পাগলীর কোলে ফুটফুটে সন্তান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৩১
ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। ঘটনাটি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটেছে। এদিকে নাম পরিচয়হীন এ পাগলি সন্তানের মা হলেও বাবার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা। অপরদিকে নাম পরিচয়হীন এই সন্তানটির পরবর্তী দ্বায়িত্ব নেয়ার জন্য নি:সন্তান অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। শিশু সন্তানটির ওজন কম ও রক্ত শূন্যতা থাকলেও মা ও সন্তান মোটামুটি সুস্থ রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খালেদ আহমদ জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী গতকাল রবিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে জকিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক পুত্র সন্তান প্রসব করেন। রোববার সকালে একজন রিক্সাচালক মানসিক ভারসাম্যহীন অসুস্থ ঐ নারীকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন।
‘অপরিচিত’ লিখে ব্যথার রোগী হিসেবে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ওয়ার্ডে নেয়ার পর হাসপাতালের সেবিকারা বুঝতে পারেন সে প্রসব ব্যথায় কাতরাচ্ছে। প্রায় চারঘন্টা হাসপাতালে সেবা শুশ্রুসার পর বিকেল চারটায় পাগলি একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সমাজসেবা অফিসকে অবগত করেছে।
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স হাসিনা বেগম জানান, পাগলিটা তার নাম একেকবার একেকটা বলছে। রেহানা, সুমানা, সুমা বলতে পারলেও সঠিক নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারছে না। সে বাংলা ভাষার পাশাপাশি কিছু হিন্দিও বলতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অভিভাবকত্ব নেয়ার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে না পাওয়া গেলে আমরা লিখিতভাবে সমাজসেবা অফিসকে বাচ্চাটি হস্তান্তর করবো।
এ ব্যপারে, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ দাস জানান, যদি আমরা লিখিতভাবে বাচ্চাটি পাই তাহলে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে সিলেট জেলা সমাজসেবা পরিচালিত ‘বেবীহোমে’ রাখা হবে তাকে। সেখান থেকে আদালতের মাধ্যমে একজনের নিকট সমঝিয়ে দেয়া হবে নবজাতককে। মানসিক ভারসাম্যহীন পাগলীটাকে জকিগঞ্জ বাজার ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে ঘুরতে দেখা গেছে।
এবিএন/ মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত/জসিম/তোহা
জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খালেদ আহমদ জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী গতকাল রবিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে জকিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক পুত্র সন্তান প্রসব করেন। রোববার সকালে একজন রিক্সাচালক মানসিক ভারসাম্যহীন অসুস্থ ঐ নারীকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স হাসিনা বেগম জানান, পাগলিটা তার নাম একেকবার একেকটা বলছে। রেহানা, সুমানা, সুমা বলতে পারলেও সঠিক নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারছে না। সে বাংলা ভাষার পাশাপাশি কিছু হিন্দিও বলতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অভিভাবকত্ব নেয়ার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে না পাওয়া গেলে আমরা লিখিতভাবে সমাজসেবা অফিসকে বাচ্চাটি হস্তান্তর করবো।
এ ব্যপারে, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ দাস জানান, যদি আমরা লিখিতভাবে বাচ্চাটি পাই তাহলে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে সিলেট জেলা সমাজসেবা পরিচালিত ‘বেবীহোমে’ রাখা হবে তাকে। সেখান থেকে আদালতের মাধ্যমে একজনের নিকট সমঝিয়ে দেয়া হবে নবজাতককে। মানসিক ভারসাম্যহীন পাগলীটাকে জকিগঞ্জ বাজার ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে ঘুরতে দেখা গেছে।
এবিএন/ মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ