আজকের শিরোনাম :

পাঁচবিবিতে জামাইকে নির্যাতনের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২৬

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী কাঁচনা গ্রামে জামাইকে মারপিট ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

জামাইয়ের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের পুত্র সবুজ (৩০)কে শশুড় বাড়িতে লাঞ্চিত ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বড় ভাইসহ আত্মীয় স্বজন। নির্যাতন করে শশুড় পরিবার জোর পূর্বক সবুজকে মুখে বিষ ঢেলে দেয় বলে তার বড় ভাই জনান। তাকে বিষ প্রাণে হত্যা করেছে? কিম্বা লাঞ্চিত করার অপমাণ সহ্য করতে না পেরে নিজেই অভিমানে আত্মহত্যা করেছে তা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন পরিবারসহ এলাকাবাসী। 

সবুজের বড় ভাই রাজুর করা অভিযোগ সূত্রে সবুজের শশুড় কাঁচনা গ্রামের মীর শহীদের বাড়িতে গেলে  স্ত্রী শাপলাকে পাওয়া যায় নি। চাচাতো ভাইয়রা পশ্চিম কড়িয়া লকমা গ্রামের সামছুন মন্ডলের পুত্র রাজু মন্ডল সহ গ্রামবাসী জামাই সবুজের সাথে তার স্ত্রী শাপলা ও শাশুড়ী ছায়না বেগমের ঝগড়া এবং হাতাহাতির কথা স্বীকার করেছেন। 

তারা বলেন, গত বুধবার সবুজ বিকেল ৩টার দিকে শশুড় মীর শহীদের বাড়িতে এসে স্ত্রী শাপলা ও ২ বছরের সন্তানকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দাবী জানান। এক পর্যায়ে স্ত্রী ও শাশুড়ীর সাথে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর সবুজ কড়িয়া বাজারে যায়। কিছুক্ষণ পর বিকেলে ৪টার দিকে আবার সে শশুড় বাড়িতে ফিরে আসে। সেখানে উপস্থিত হতেই বমি করতে থাকে। সবুজের বিষের গন্ধ ও বমি দেখে লোকজন এগিয়ে আসলে সবুজের নিকট আরোও একটি বিষের বোতল পায়। সঙ্গে সঙ্গে কড়িয়া বাজারে নিয়ে সবুজকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে একটু সুস্থ হয়। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন জানান, কড়িয়া বাজারে সবুজ প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তার মামার হাতে তুলে দেয় এবং জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। পরে জানতে পারি বুধবার দিবাগত রাত ২টার পর সবুজকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে সে মারা যায়। 

তিনি আরো বলেন, ঘটনার ৭ দিন পূর্বে সবুজের বাড়িতে তাদের ঘর-সংসার বিষয়ে দরবার শালিস করেছি এবং সংসার হবে না মর্মে উভয় পক্ষ লিখিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। 

এবিএন/সজল কুমার দাস/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ