আজকের শিরোনাম :

দৌলতপুরে সরকারী জমিতে ইটভাটা : দুই বছরেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৪

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সরকারী মালিকানাধীন অর্পিত সম্পত্তিতে ইটভাটা স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করার এক বছর অতিক্রান্ত হলেও অদ্যবধি প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।


জানাযায়, উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের ৭৮ নং সোনাইকান্দি মৌজার ৮৮ ও ১ নং খতিয়ানভুক্ত ১৩১, ২৬৩ ও ২৬৭ দাগের ৬ একর ৫৬ শতাংশ জমির উপর নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে অবৈধভাবে স্থাপন করা সরকারী জমিতে ইটভাটা উচ্ছেদ করে সরকারী জমি উদ্ধারের জন্য আব্দুল জলিল খান ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক এর নিকট আবেদন করে।

 বিষয়টি তদন্ত করে সরকারী সম্পত্তিতে ইটভাটা স্থাপন করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ০০.০০০.৫০০০.০০৫.৪৭.০২৬.১৬-৬৯ (যুক্ত) স্বারকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোঃ মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত সোনাইকান্দি মৌজার ৮৮ খতিয়ানের ১৩১,২৬৩, ও ২৬৭ দাগের ৬ একর ৫৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩ একর ২২ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি সরকারী দখল গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এবং ঐ অর্পিত সম্পত্তি দখলগ্রহণ নিশ্চিত পুর্বক ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ ও সরকারী জমি উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

 এ ব্যাপারে ইটভাটা মালিক নজরুল ইসলাম জানান, ঐ জমির মালিকানা দাবী করা রিফাইতপুর গ্রামের মৃত দিয়াতুল্লাহ সরকারের ছেলে গিয়াস উদ্দিন সরকারের কাছ থেকে তিনি লিজ নিয়েছেন।

এবং এই জমি নিয়ে গিয়াস উদ্দিন সরকার ২০১৩ সালে হাইকোর্টে ৫২৭৭/২০১৩  রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। যে রিটের কারণে ঐ জমিতে ৩ মাসের স্থগিতাদেশ ছিল। এলাকাবাসী জানায়, সু-চতুর গিয়াস উদ্দিন সরকার দীর্ঘ চার বছরেও ঐ রিট পিটিশন টি নিস্পত্তি না করে পুনঃরায় গত ১৭ এপ্রিল ২০১৭ইং তারিখে স্বাক্ষরিত ৫২৭৭/২০১৩ রিট পিটিশনের কপি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রেরণ করে।

 এবং পিটিশনের প্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং তারিখ থেকে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য পুনঃরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। যার সময়সীমা চলতি বছরের মার্চ মাসে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অদ্যবধি স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

এবিএন/জহুরুল হক/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ