আজকের শিরোনাম :

দশমিনায় পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫১

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের রণগোপালদী বাজার সংলগ্ন খাদ্য গুদামের পাশের পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক সংখ্যালঘু পরিবার। গতকাল সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগি পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রণগোপালদী রাজার সংলগ্ন খাদ্য গুদামের পাশে একই জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক নারায়ন চন্দ্র হাং সাড়ে ৪ শতাংশ জমি একই গ্রামের হেমায়েত হাওলাদারের কাছে বিক্রি করেন আমাদের ভোগদখলীয় জমি বুঝিয়ে দেয়। আমাদের ভোগদখলীয় জমিতেইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক দখল করার উদ্দেশে ২৪ শতাংশ জমিতে হেমায়েত হাং রাতে আধাঁরে বৃক্ষ রোপন করে।

এতে আমরা বাধাঁ নিষেধ করলেক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হেমায়েত হাং ও তার ছোট ছেলে কিলঘুষি ও লাঠিছোটা দিয়ে পিটিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। এতে লক্ষী রানি (৩৫), সনজিব ব্যাপারী (২৮) আহত হন। 

আহতদের মধ্যে লক্ষী রানিকে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়। অপর আহত ব্যক্তি সনজিব ব্যাপারী প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। 

এ ব্যাপারে রণগোপালদী ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম আসাদুল হক নাসির সিকদার এ প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানান, স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মো. জসিম হাওলাদার মাস্টারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিপক্ষ স্থানীয় শালিসদের কাছে আহত ব্যক্তির চিকিৎসা সেবার জন্য মোট ১০ হাজার দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে জসিম হাওলাদার (মাস্টার) মুঠোফোনে প্রতিনিধিকে জানান, ইতিপূর্বে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে বলেছি এবং উভয়পক্ষ থেকে নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষর নিয়েছি। আহতরা শারীরিকভাবে সুস্থ হলেই আপোষ মীমাংসার জন্য বসা হবে। 

এ ব্যাপারে দশমিনা থানা ইনচার্জ রতন কৃষ্ণ রায় চৌধুরীর ব্যক্তিগত ০১৭১০৯১৭৮৯১নং মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায়নি। 

এবিএন/সাইদুর রহমান সাইদ/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ