আজকের শিরোনাম :

‘পূর্ব ঘটনার পুনরাবৃত্তি নয়, নতুন স্বপ্নে দেশকে এগিয়ে নিতে এসেছি’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৪৯

গাইবান্ধার নবাগত জেলা প্রশাসক সেবাস্টিন রেমা বলেছেন, আমি কথা শুনতে পছন্দ করি। বলতে কম পারি। বর্তমানে সারাদেশে আমরা আপামর যারা আছি তারা কেউ কারো চাইতে কম অভিজ্ঞ না।  এখানে এসেছি সন্ত্রাস-নাশকতা ও জ্বালাও-পোড়াওসহ পূর্বের কোন ঘটনা পুনরাবৃত্তির জন্য নয়। এসেছি নতুন স্বপ্ন নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে।

কাউকে দোষারোপের চর্চা বাদ দিতে হবে। তবে কেউ না কাউকে সহযোগিতা করতে বাধ্য। কে মানলো বা কে মানালো না-তা দেখতে হবে। স্রোতস্বিনি নদীর ন্যায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র-মঙ্গাবিড়ীত শব্দগুলো আজ আর নেই। প্রচলিত ভিক্ষা বৃত্তি মানুষের বদভ্যাসগত। ভিক্ষা এবং দান এক কথা নয়।

গাইবান্ধার নবাগত জেলা প্রশাসক পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ  রবিবার সন্ধা সাড়ে ৭টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে প্রশাসনের অপরাপর দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় সুধী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল হোসেনের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গি নাশকতা ও মাদকসহ কোন অন্যায়ই কোন ধর্মই সমর্থন করে না। কিছু সুবিধাবাদি ব্যক্তির দ্বারা সাধারণত এসব হয়ে থাকে।  যে কোন খারাপ দিক সম্পর্কে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।  

বহিরাগত দূস্কৃতিকারীর সার্বিক সহায়তায় বিপদগামী মানুষ দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়। এদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ভাবে সোচ্চার হতে হবে। প্রতিটিটি সেক্টরে সরকারের চলমান উন্নয়ন বিশ্বে আজ রোল মডেল।  আরো শক্তিশালী-আরো সফল।  সবাই সতর্ক থাকবেন উন্নয়ন এবং নির্বাচন একই সাথে বেগবান করতে হবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই।  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমূন্নত রাখতে চাই।  বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্ন বাস্তবায়নে শান্তি, উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার আশাতীত উন্নয়ন অব্যাহত।  দেশের সক্ষমতা বেড়েছে।  সবার অবস্থান থেকে ওইসব চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।  সরকারের জন্য-বাংলাদেশের জন্য সর্বোপরি মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।  আমরা আশাবাদি সম্মিলিত ভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন তথা উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবো।  সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন আপনারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সার্বিক প্রেক্ষাপটের আলোকে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রশাসনের প্রতি সার্বিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবেন।

উপজেলা সহকারী কশিনার (ভূমি) মো. আরিফ হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, ছাইফুলার রহমান তোতা চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম বাদশা, আলী মোস্তফা রেজা গোলাপ, যুব উন্নয়ন অধিপ্তরের উপ-পরিচালক তোফায়েল আহম্মেদ খান, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান কোহিনুর আকতার বানু শিফন, উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জদ হোসেন, নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহতাব হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্যাহিশ শাফী, থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোস্তাফিজার রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রহমান, মোটর শ্রমিক সভাপতি আব্দুস সোবহান মন্ডল বিচ্চু, পুজা উদ্যাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক দীলিপ চন্দ্র সাহা, ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল, আমিনুল ইসলাম রিন্টু, শাহ্ আলম মন্ডল, রুহুল আমিন কবীর চৌধুরী রুশো, মিজানুর রহমান চট্টু, ফজলুল করিম, এস.এম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশীল চন্দ্র সরকার, অধ্যক্ষ সিদ্দিকুল ইসলাম লিটন, পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম মিল্টন, এসএমবি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম প্রধান, বঙ্গবন্ধু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রেজাউল করিম বাবলু, দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জুলহাস উদ্দিন দুলু, প্রেস ক্লাব একাংশের সভাপতি রবিউল হোসেন পাতা, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দুদু, অপরাংশের সভাপতি মন্জুর কাদির মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন প্রমুখ।  এ সময় উপজেলা প্রশাসনের অপরাপর দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/আরিফ উদ্দিন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ