আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইয়ের বাড়ি-ঘরে হামলার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১৮ | আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৮, ২১:২৭

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সহোদর দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের লোকজন হামলা চালিয়ে বড় ভাইয়ের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করাসহ লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ রবিবার বিকেলে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রূপগঞ্জ গ্রামের মৃত উমর আলীর বড় ছেলে আলতাবুর রহমানের বাড়িতে তারই ছোট ভাই শফিকুল ইসলামের লোকজন এ ঘটনা ঘটায়।

স্থানীয় এলাকাবসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রূপগঞ্জ গ্রামের মৃত উমর আলীর বড় ছেলে আলতাবুর রহমানের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারই ছোট ভাই শফিকুলের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে রবিবার সকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়।

পরে খবর পেয়ে ওই দিন বিকেলে তারা দুই ভাইয়ের বিবাদের বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান ও এলাকার বিশিষ্ট মাতাব্বর মাফিজ আলীসহ ৫-৬ মাতাব্বর তাদের বাড়িতে যান।  তারা সেখানে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য শালিসী বৈঠকে বসার এক পর্যায়ে ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম এই বিচার মানিনা বলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওই শালীসী বৈঠক থেকে চলে গিয়ে তিনি তার লোকজনকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় মাতাব্বরগণের উপস্থিতিতেই আকস্মিকভাবে তার বড়ভাই আলতাবুর রহমানের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায়।  এসময় তারা বাড়ির সীমানায় থাকা সুপারী, নারিকেলসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় অর্ধ্ব শতাধিক গাছও কেটে ফেলে রেখে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত  আলতাবুর রহমানের ছেলে আল-আমিন অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত মাতাব্বরগণের নির্দেশেই আমার চাচা শফিকুল তার লোকজন নিয়ে আমার বসত ঘরে হামলা ,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এমনকি চেয়ারম্যান নিজেও আমার বড় ভাইকে মারধর করেছে এবং মাফিজ আলী মাতাব্বরও আমার বাবাকে চেয়ার দিয়ে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে পাইকুরাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমরা মূলত তারা দুই ভাইয়ের বিবাদের বিষয়টি মীমাংসা করার জন্যই তাদের বাড়িতে গিয়ে শালীসী বৈঠকে বসি । কিন্তু শালীসী বৈঠক চলাকালীন সময় আলতাবুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত মাতাব্বরগণকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করতে থাকেন। পরে আমরা বৈঠক থেকে চলে যাই।

ধর্মপাশা থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার  রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, এটি একটি পারিবারিক সমস্যা।  তবে এ ব্যাপারে এক পক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/মোঃ ইমাম হোসেন/জসিম/এরাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ