আজকের শিরোনাম :

তাহিরপুর সীমান্তে ১০০মে.টন চোরাই কয়লা আটক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:২৭

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট, বীরেন্দ্রনগর ও চাঁনপুর সীমান্ত এখন অস্ত্র, কয়লা, মাদক ও চাঁদাবাজি মামলার আসামীদের নিয়ন্ত্রণে।

 আসামীরা নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ওপেন কয়লা,চুনাপাথর,মদ, গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা ও অস্ত্র পাচাঁর করছে। বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে আজ ২১.১০.১৮ইং রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১০০মে.টন চোরাই কয়লা আটক করলেও চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় কয়লা,মাদক ও চাঁদাবাজি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া,ইদ্রিস আলী ও জানু মিয়া ১বস্তা কয়লা পাচাঁরের জন্য বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ারের নামে ৮০টাকা,হাবিলদার মশিউরের নামে ৩০টায়,টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমামের নামে ৫০টাকা ও আব্দুর রাজ্জাকের নামে ৫০টাকা চাঁদা নিয়ে লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে ৪২০মে.টন কয়লা ও ২হাজার পিছ ইয়াবা পাচাঁর করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত দুধেরআউটা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে নয়ন মিয়া,তাজু মিয়া,ধন মিয়া,লুৎফুর রহমান,ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া,ও ইয়াবা সম্্রাজ্ঞী আংগুরী বেগমের বাড়িতে নিয়ে মজুত করে।

অন্যদিকে লাকমা গ্রামের অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল,কামরুল মিয়া,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী ও ইসাক মিয়াগং টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দিয়ে ভারত থেকে ২০মে.টন কয়লা পাচাঁর করে বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের জাহের আলীর ডিপুতে নিয়ে মুজত করে এবং ৫শ পিছ ইয়াবা পাচাঁর করে ল্যাংড়া বাবুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। এই খবর পেয়ে টেকেরঘাট বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার আনিসুর রহমান গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে আজ ২১.১০.১৮ইং রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে দুধেরআউটা গ্রাম থেকে ১০০মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেন।

 এবং অভিযান চলাকালীন গতকাল শনিবার রাত ৯টায় পার্শ্ববর্তী তেলিগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমানে পাটলাই নদীতে ৪টি ইঞ্জিনের নৌকায় ৩২০মে.টন চোরাই কয়লা বোঝাই করে চোরাচালানী জানু মিয়া,কালাম মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া ও তাজু মিয়া নিয়ে গেলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এর আগে গত সোমবার সকাল ১০টায় টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের সামনে লাকমা বাজারে ল্যাংড়া বাবুল ও তার সহযোগী আশিকনুরের মধ্যে ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে সংঘর্ষ হয় এবং গত শুক্রবার সকাল ৮টায় লালঘাট গ্রামে কয়লা ও ইয়াবার চালান নিয়ে চোরাচালানী জানু মিয়া ও কালাম মিয়ার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত আইনগত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া,বারেকটিলা,কড়ইগড়া ও রাজাই এলাকা দিয়ে ভারত থেকে ওপেন চুনাপাথর,কয়লা,মদ,হেরুইন,ইয়াবা পাচাঁর করে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে যাদুকাটা নদীতে নিয়ে মজুত করে প্রতিদিন নৌকা বোঝাই করছে মাদক ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী আবু বক্কর,সম্্রাট মিয়া,কাসেম মিয়া,লাল মিয়া,নাজমুল শিকদার,আবুল কালামগং।

 এছাড়া বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্পের বাগলী ও সুন্দরবন এলাকা দিয়ে প্রতিদিন কয়লা,মদ,ইয়াবা ও পাথর পাচাঁরে অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে লালঘাট গ্রামের চোরাচালানী কালাম মিয়া ও লাকমা গ্রামের ল্যাংড়া বাবুল বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে এনিয়ে পত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে কিন্তু কিছুই হয়নি কারণ আমরা বিজিবি ও পুলিশের সোর্স।

 বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার মশিউর রহমান বলেন,আমাদের ক্যাম্পের সামনে চোরাই কয়লা ও ইয়াবা বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই,তবে কোম্পানী কমান্ডার স্যার কয়লা আটক করেছে জানতে পেরেছি। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার আনিসুর রহমান বলেন,পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা আটক করা হয়েছে,চোরাচালানীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

এবিএন/মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ