আজকের শিরোনাম :

তজুমদ্দিনে অশ্রু বিসর্জনে দুর্গোৎসবের বর্ণিল সমাপ্তি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:০১

ভোলার তজুমদ্দিনে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি হয়েছে।

গত সোমবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয় আরাধনা ও ভক্তদের অশ্রু বিসর্জনে কৈলাসে ফিরলেন দেবী দূর্গতিনাশিনী। তজুমদ্দিনের বারোটি পূজামন্ডপে ভক্ত, পূজারী সহ সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহনে দুর্গোৎসবের বর্ণাঢ্য আয়োজন চিরাচরিতসার্বজনীন রূপ লাভ করেছে। 

দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন গত বৃহস্পতিবার উপজেলার প্রতিটি মন্ডপ পরিদর্শন করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।পরিদর্শনকালে সাংসদ প্রতিটি মন্দিরে নগদ অর্থ ও দরিদ্রদের মধ্যে শাড়ী বিতরণ করেন।


তজুমদ্দিন উপজেলা সদরের শ্রী শ্রী কালীবাড়ি পূজামন্ডপ, গৌর-গোবিন্দ আশ্রম, শ্রী শ্রী প্রিয়নাথ গোসাঈর মন্দির, পশ্চিম পাড়া হরিমন্দির এবং তজুমদ্দিন বাজার পূজামন্ডপে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপণার মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে শারদোৎসব। 

এছারা ভুবন ঠাকুর বাজারের শিবশক্তি মন্দির, ডাওরী বাজার মন্ডপ, নিমচাঁদ পূজামন্ডপ, মা করুণাময়ী পূজামন্ডপ, দাসের হাট পূজামন্ডপ ও স্বরুপ আশ্রমে অনুষ্ঠিত হয়েছে শারদীয় দূর্গাপূজা। দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি মন্ডপে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তজুমদ্দিন-মনপুরা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শামীম কুদ্দুস ভূঁইয়া। 

১৯৯২ ও ২০০১ সালে ব্যপক সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের শিকার এ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় গত কয়েক বছর ধরে নির্বিঘেœ সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেন তজুমদ্দিন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী বিধূ ভূষণ রায়। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বলেন, দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

তজুমদ্দিনের দক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার দাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শারদীয় দুর্গাপূজার এ বছরের আয়োজন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ।
 

এবিএন/চপল রায়/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ