দৌলতপুরে গণসংযোগে আওয়ামী লীগ : মাঠে নেই বিএনপি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:২৬
দৌলতপুর উপজেলায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
এ ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা স্বরবে মাঠে থাকলেও মামলা হামলার ভয়ে বিএনপি প্রার্থীদের মাঠে খুব একটা দেখা যাচ্ছেনা। তবে বিএনপি প্রার্থীরা গোপনে গোপনে নির্বাচনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিএনপি‘র একাধিক সুত্র জানিয়েছে।
এ আসনটি জেলার দৌলতপুর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এই আসনে হাল নাগাদ সহ মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪১ হাজার ১১২। এর মধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৮৭ জন, আর মহিলা ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৪২৫ জন। স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ আসনে তুলনামুলক ভাবে বিএনপির প্রাথীরাই বেশি জয়লাভ করেন।
তবে, এই আসনে বর্তমান ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এখানে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের ভোট সংখ্যার ব্যবধান খুব সামান্য। জোটগত ভোটের ব্যবধানেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হতে পারে বলে সাধাররণ ভোটারগন জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে এই আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট বা মহাজোট প্রার্থীরই জয়লাভের সম্ভাবনা বেশী।
কেননা এ আসনে জামায়াতের ভোট সংখ্যা ১০ হাজারের বেশী নয়। আর বিগত দলগত নির্বাচন গুলোতে বিএনপি প্রার্থী আহসানুল হক পচা মোল্লা ৫ থেকে ৭ হাজার ভোটের ব্যভধানে জয়লাভ করেছিলেন। শুধুমাত্র ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট প্রার্থী আফাজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপি প্রার্থীকে প্রায় ৪০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান আক্কাস বিজয় লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির আহসানুল হক পচা মোল্লা এমপি নির্বাচিত হন।
উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা তার বাবা আহসানুল হক পচা মোল্লার মৃত্যুর পর ২০০৪ সালে উপ নির্বাচনে এমপি হয়েছিলেন। রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন।
তাছাড়া তিনি উপজেলা বিএনপি‘র সভাপতি হিসাবে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। তবে, তিনি ওয়ান ইলেভেনের সময় গা ঢাকা দিলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে চার দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেনকে।
বর্তমানে জেলা বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা আলহাজ আলতাফ হোসেন ও মনোনয়ন পাবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রমজান আলী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে নিয়মিতভাবে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা সহ উঠান বৈঠক করছেন।
এদিকে আওয়ামীলীগ তথা ১৪ দলীয় জোট থেকে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদ গনসংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ১৯৭৩ সালের পর ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও আফাজ উদ্দিন আহমেদ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তাছাড়া দলের মধ্যে ক্লিন ইমেজের অধিকারী এবং ব্যাক্তি হিসাবে দলের তৃণমুল নেতা-কর্মীর মধ্যে তার জনপ্রিয়তায় অনেকেই ঈশ্বান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধচারন করে থাকেন। তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু‘র আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি। এ কারণে দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে এ আসনে আফাজ উদ্দিন আহমেদ এর কোন বিকল্প দেখছেন না তারা। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রেজাউল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হন। তিনিও দলীয় মনোনয়ন লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, তিনি দলীয় নেতাদের কাছে টানতে অনেকাংশে ব্যর্থ বলে সাধারণ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। তাছাড়া এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর পুত্র, ভাই, ভাতিজার নিয়োগ বাণিজ্য, জোর করে ঠিকাদারী কাজ দখল, টিআর কাবিখা প্রকল্প হরিলুট, সরকারী জায়গা দখল সহ তাদের দৌরাত্মে নির্বাচনী এলাকার মানুষ তাদের উপর নাখোশ । আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদ, বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি রেজাউল হক চৌধুরী ছাড়াও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম সরওয়ার জাহান বাদশা, বায়েজিদ আক্কাস, সাংবাদিক নেতা রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আসনে জাতীয় পাটির্র (এরশাদ) সাবেক মন্ত্রী মরহুম কোরবান আলীর ছেলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার জামিল জুয়েল ইতমধ্যে নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানতে চাইলে শাহরিয়ার জামিল জুয়েল, জানান, দল আমাকে ইতিমধ্যে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে যদি জোটগত নির্বাচন হয় সেক্ষেত্রে জোটের প্রার্থীর পক্ষেই তিনি থাকবেন। এছাড়া জাসদ (ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক, যুবজোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবীর স্বপন নিয়মিতভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবিএন/জহুরুল হক/জসিম/তোহা
এদিকে আওয়ামীলীগ তথা ১৪ দলীয় জোট থেকে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদ গনসংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ১৯৭৩ সালের পর ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও আফাজ উদ্দিন আহমেদ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তাছাড়া দলের মধ্যে ক্লিন ইমেজের অধিকারী এবং ব্যাক্তি হিসাবে দলের তৃণমুল নেতা-কর্মীর মধ্যে তার জনপ্রিয়তায় অনেকেই ঈশ্বান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধচারন করে থাকেন। তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু‘র আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি। এ কারণে দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে এ আসনে আফাজ উদ্দিন আহমেদ এর কোন বিকল্প দেখছেন না তারা। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রেজাউল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হন। তিনিও দলীয় মনোনয়ন লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, তিনি দলীয় নেতাদের কাছে টানতে অনেকাংশে ব্যর্থ বলে সাধারণ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। তাছাড়া এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর পুত্র, ভাই, ভাতিজার নিয়োগ বাণিজ্য, জোর করে ঠিকাদারী কাজ দখল, টিআর কাবিখা প্রকল্প হরিলুট, সরকারী জায়গা দখল সহ তাদের দৌরাত্মে নির্বাচনী এলাকার মানুষ তাদের উপর নাখোশ । আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদ, বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি রেজাউল হক চৌধুরী ছাড়াও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম সরওয়ার জাহান বাদশা, বায়েজিদ আক্কাস, সাংবাদিক নেতা রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আসনে জাতীয় পাটির্র (এরশাদ) সাবেক মন্ত্রী মরহুম কোরবান আলীর ছেলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার জামিল জুয়েল ইতমধ্যে নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানতে চাইলে শাহরিয়ার জামিল জুয়েল, জানান, দল আমাকে ইতিমধ্যে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে যদি জোটগত নির্বাচন হয় সেক্ষেত্রে জোটের প্রার্থীর পক্ষেই তিনি থাকবেন। এছাড়া জাসদ (ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক, যুবজোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবীর স্বপন নিয়মিতভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবিএন/জহুরুল হক/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ