আজকের শিরোনাম :

অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী নুর আলমের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:১৬

মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না নুর আলম। সে চিকিৎসক হয়ে দরিদ্র বাবা-মার মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি অসহায় মানুষের সেবা করতে চান। কিন্তু তার ইচ্ছা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন। পিত্ত্ব থলিতে পাথরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হত দরিদ্র বাবার সন্তান নুর আলম নিজে প্রাইভেট পড়িয়ে এইচএসসি পাস করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৩৬৭৫তম স্থান অধিকার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শুধুমাত্রা অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না।  ২২ অক্টোবর মেডিকেল কলেজে ভর্তির শেষ দিন। ভর্তির শেষ তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চড়াওবাড়ি গ্রামের মোঃ নুরল হক ও মোছাঃ ফজিলা বেগমের ছেলে নুর আলম। তার ছোট দুই বোন স্থানীয় স্বুলে যথাক্রমে ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। বাবা নুরল হকের বসতভিটা ছাড়া কিছুই নেই। চটি দোকান দিয়ে সামান্য চালের ব্যবসা করে কোন রকমে সংসার চালাতেন তিনি। বর্তমান পিত্ত্ব থলিতে পাথরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় গ্রাম ঘুরে চাল সংগ্রহ করতে না পেরে সে ব্যবসাও করছেন না তিনি।

টানাটানির সংসারে অভাব আর দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে লেখাপড়া করেছেন নুর আলম। নিজে প্রাইভেট পরিয়ে ২০১৫ সালে এসএসসি ও ২০১৭ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করে। ২০১৭সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে কৃষি অনুষদে ভর্তি হয় এবং লেভেল-১,সেমিষ্টার-১ এর ফাইনাল পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।

২০১৮ সালে কোন কোচিং না করেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে নুর আলম।  মেধা তালিকায় ৩৬৭৫তম স্থান অধিকার করে সে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়। মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা দরকার।

এছাড়াও ভর্তি হয়ে শিক্ষা জীবনে বাকী পথ কিভাবে পাড়ি দিবে তা তার জানা নেই। নুর আলমের মা ফজিলা বেগম ছেলের উচ্চ শিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিদের সাহায্য সহযোগীতা কামনা করেছেন।  যোগাযোগ-০১৭৭৩-৫২২৬৮৯।

এবিএন/গোলাম মাহবুব/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ