আজকের শিরোনাম :

পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ: আটক ৩

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫২

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় শেফালি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্বশুর, শ্বাশুরি ও ননদ আটক করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি তাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ অক্টোবর) সকালে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই গৃহবধূ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে মারা যান। এর পরেই সটকে পড়ে ওই গৃহবধূর স্বামী।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে  তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের বর্মতল এলাকার সাইবুল ইসলামের মেয়ে শেফালি আক্তারের সাথে একই উপজেলার তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া গ্রামের খাদেমুল ইসলামের ছেলে লিটন ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।

 বিয়ের পর থেকেই যৌতুকে দাবিতে সামান্য বিষয় নিয়ে শেফালিকে মারধর করতো লিটন। এ বিষয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে।

 গতকাল রবিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ১০ দিন বাবার বাড়ি থাকার পর সন্তান নিয়ে শেফালি স্বামীর বাড়ি ফিরলে পারিবারিক কলহের জেরে আবারও মারধর করে লিটন। এক পর্যায়ে সে মাটিতে পড়ে গেলে তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয় স্বামী ও শাশুড়ি। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

আজ সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। শেফালীর বাবা সাইফুল ইসলাম জানায়, চার বছর আগে যৌতুক দিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের পর থেকেই লিটন এবং তার বাবা নতুন করে যৌতুক দাবী করে আসছিল কিন্তু আমি অসহায় দিনমজুরের পক্ষে তা সম্ভব ছিলনা।

যার ফলে প্রতিনিয়ত আমার মেয়েকে তারা নির্যাতন করত। শেফালীকে ইচ্ছাকৃত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত আবু সায়েদ তিন জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক তিন জনের মধ্যে শেফালীর শ্বাশুরি ও ননদকে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ আটক করেছে এবং ছেলের শ্বশুরকে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ আটক করেছে। এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার।

 


এবিএন/ডিজার হোসেন বাদশা/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ