তারাগঞ্জে শিক্ষকের অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪০
রংপুরের তারাগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী পানিতে ডুবে মারা গেছে। অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের অবহেলায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
আজ সোমবার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের জগদীশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে ১০জন শিক্ষার্থীকে বেচে নেওয়া হয়।
পরে দুপুরের বিরতিতে তাঁরা প্রস্তুতি হিসেবে সাঁতার কাটার জন্য বিদ্যালয়ের পুকুরের নামেন। তাদের তদারকি করছিলেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাহিদা পারভিন। এরই একসময় তিনি মুঠোফোনে কথা বলতে ব্যস্ত হলে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আশা মনি (৮) পানিতে তলিয়ে যায়।
সহপাঠীরা পুকুর থেকে উঠে আসলেও আশা মনি আসে না। পরে তাকে ক্লাসে দেখতে না পেয়ে খোঁজ-খুজি শুরু কওে সহপাঠিরা। ওই সময় মাঠে ফুটবল খেলোয়াদের সহযোগিতায় আশা মনিকে পুকুরের পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে মাঠে আনা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আশা মনি মারা যায়।
সরকারপাড়া গ্রামের যাদু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধারের পর বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক তাকে ছোয়নি।
এমনকি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মোটরসাইকেল থাকা সত্ত্বেও তারা রিকশাভ্যানে মেডিকেলে পাঠানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা পরে মাইক্রোবাসে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়।
একজন শিক্ষার্থী যখন মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ছেন তখন শিক্ষকেরা কাছে থেকেও দূরে এমনকি কোন সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন ‘এমন ঘটনা মনে ঘৃণার জন্ম দেয়।’
শিক্ষার্থীর বাবা আজিত আলী বলেন, ‘ছাওয়াটা মোর সকালে হাসিমুখে স্কুল আইল। এখন কায় মোক আর আব্বা কয়া ডাকাইবে। মোর ছাওয়াটাক কোনটে পাইম মুই।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিপদ রায় বলেন, যার দায়িত্ব ছিল তার অবহেলার জন্যই ঘটেছে। আসলে ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক।
তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলী বলেন, আমি পুরো ঘটনা জেনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কোন মামলা হয়নি।
এবিএন/বিপ্লব হোসেন অপু/জসিম/তোহা
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে ১০জন শিক্ষার্থীকে বেচে নেওয়া হয়।
এবিএন/বিপ্লব হোসেন অপু/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ