আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে আইন অমান্য করে চলছে ইলিশ নিধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:০৬

মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনে ও রাতের আঁধারে ফরিদপুরে ইলিশ ধরছে জেলেরা। তাদের প্রতিরোধ করতে জেলা প্রশাসন,মৎস্য বিভাগসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অভিযান চালালেও থেমে নেই মাছ ধরা। এক্ষেত্রে প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকে ফরিদপুর জেলায় ৪৮ জেলেকে কারাদ-, ১লাখ ৫১ হাজার মিটার জাল ও ২৩৮ কেজি কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় বিভিন্ন এতিমখানা মাদরাসা, সেফ হোম, শান্তি নিবাস, পুনর্বাসন কেন্দ্র, সরকারি শিশু পরিবারের মধ্যে বিতরন করা হয় এবং আটকৃত জাল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান ২০১৮" চলাকালিন সময়ে ৭ দিনে এখন পর্যন্ত মোট ১২৭ টি অভিযান থেকে ২৪ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় করা হয়েছে।

জেলার মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদী, সদরপুর, চরভদ্রাসনে আড়িয়াল খা ও পদ্মা নদী এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের পদ্মা নদীর এলাকায় ইলিশ ধরতে একাধিক জাল ফেলে রেখেছেন জেলেরা। এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে নৌকা, জাল ও মাছ রেখে পালিয়ে যান তারা।

মৎস্যজীবী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু এবং লোভী জেলে প্রতি বছরই এভাবে প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরে থাকেন।

ওই সকল এলাকার স্থাসীয় বাসিন্দা রাজু ব্যাপারী, হাফিজ শেখ, করিম মাতুব্বর, সেলিম মুন্সিসহ একাধিক জেলে বলেন, সরকারের ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা মেনে আমরা মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও কিছু লোভী এবং অসাধু জেলে প্রতি বছরই প্রজনন মৌসুমে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইলিশ শিকার করে থাকে। তাই তাদের প্রতিরোধ করতে মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসনের আরও নজরদারি বাঁড়ানো প্রয়োজন।

তবে তারা বলেন, সরকার এই সময়ে জেলেদের সরকারি সহায়তা করলে এই অসাধু জেলের সংখ্যা কমে যাবে। কারণ যার এই সময়ও মাছ ধরতে যাচ্ছে তারা কিন্তু পেটের তাগিদে যাচ্ছে। তারা জানানে ধরা পড়লে জেল হবে তার পরে পরিবার চালাতে বাধ্য হচ্ছে তারা।

ফরিদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ইলিশ শিকার বন্ধ রাখতে মৎস্য বিভাগ প্রতিনিয়িত অভিযান চালাচ্ছে। তারপরও কিছু অসাধু জেলে রাতের আঁধারে ইলিশ শিকারের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, এ সময় ফরিদপুর অঞ্চলের নদীতে ইলিশ পাওয়া যায় ভাল, আর অন্য সময় পাওয়া যায়না। এই কারনে নদী পাড়ের মানুষের কাছে এই সময়টা একটা উৎসবের মতো যে কারণে আমাদের সর্তকতার পরেও ইলিশ ধরতে নদীতে নামছে তারা।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকারি নিদের্শ অনুযায়ী জেলা প্রশাসন ও মৎস বিভাগ যৌথ ভাবে প্রতিদিন জেলার সর্বত্র অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা চলছে এই অল্প সময়টায় জেলেরা যাতে নদীতে জাল না ফেলে।

তিনি বলেন, ফরিদপুর জেলায় ২২শ ৩৭ জন তালিকা ভূক্ত জেলে রয়েছে তাদের (ইলিশ নিধনের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞাল সময়ে) সরকারি সহায়তার বরাদ্দ আমরা পেয়েছি । দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মাঝে সেটি দেওয়া হবে ।

সরকারি এই কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, জেলেদের প্রনোদনা দিতে পারলে হয়তো তারা নদীতে এই সময়ে নামবেনা।   


এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ