আজকের শিরোনাম :

বাউফলে ৬৯ টি মন্ডবে দুর্গাপূজা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২৯

পটুয়াখালীর বাউফলে ৬৯টি মন্ডবে শারদীয়া দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।এ উৎসবকে সামনে রেখে উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে উৎসবের আমেজ বইতে শুরু করেছে।  ইতোমধ্যে শিল্পীদের নিপুণ হাতে মাটির কাজ শেষ করে এখন চলছে রঙ তুলির আঁচর।এর আগে বাঁশ ও খড়কুটোর ওপর দেওয়া হয়েছে মাটির প্রলেপ। এরপর শিল্পীর আঁচড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দশভূজা দেবী দুর্গাসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিতিমূর্তি।

১৫অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আর  শেষ হচ্ছে ১৯ অক্টোবর। এই উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় পূজা মন্ডপে মাটির প্রতিমা নির্মাণ শেষে এখন চলছে রং তুলির আঁচর।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সনজিত সাহা ও সাধারন সম্পাদক অতুল পাল জানান, এ বছর বাউফলের ১৫টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় মোট ৬৯ টি মন্ডপে শারদীয়া দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  তবে এ উপজেলার নাজিরপুর এবং চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন একেবারেই কম থাকায় ওই দুটি ইউনিয়নে দুর্গা পূজা হচ্ছে না।

তবে বরাবরের মতো উপজেলার বগা ইউনিয়নে সর্বাধিক সংখ্যক মন্ডপে দুর্গা পূজা হচ্ছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকল মন্দিরেই চলছে রং-তুলির কাজ। তবে কিছু কিছু মন্দিরে ইতিমধ্যেই রং-তুলির কাজ শেষ হয়েছে। যে সকল মন্দিরে রং-তুলির কাজ শেষ হয়েছে সেখানে এখন চলছে মন্দির সাজানোসহ লাইটিংয়ের কাজ। সাজ-সজ্জায় শুরু হয়েছে প্রতিযোগীতা।

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই প্রত্যেক পূজা মন্ডপের প্রতিনিধিদের সাথে সভা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। এবছর প্রত্যেক পূজা মন্ডপে কমপক্ষে একজন করে পুলিশ, পর্যাপ্ত চৌদিকার ও দফাদার আইন শৃংখলা রক্ষার  কাজে  নিয়োজিত থাকবে। প্রতিমা তৈরীর সময় থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও পূজা শুরুর আগে থেকে শেষ পর্যন্ত  পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টীম কাজ করবে।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে জানান, পূজার সময় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবেরও টহল দল থাকবে।  কোন কোন স্থানে কোস্টগার্ডও থাকবে। যে কোন ধরণের অপতৎপরতা রোধে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।

এবিএন/মোঃ দেলোয়ার হোসেন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ