আজকের শিরোনাম :

আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেল মতলবের ৩২৯ টি পরিবার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১১

মতলব উত্তর উপজেলার ছেঙ্গারচর পৌরসভায় ৩২৯টি অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবার ঘর পেয়েছে।  মোট ৩২৯টি ঘরের মধ্যে ৩১০টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  মহাখুশি হতদরিদ্র পরিবারগুলো। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধিনে ‘যার জমি আছে ঘর নেই’ এমন দরিদ্র পরিবারের জন্য ঘরগুলো নির্মাণ কাজ চলমান আছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলায় দরিদ্র পরিবারের জন্য এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৭০ টি ঘর নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে এখলাছপুর ইউনিয়নে ১৪১ টি ও ছেঙ্গারচর পৌরসভায় নির্মাণ হচ্ছে ৩২৯ টি ঘর। ছেঙ্গারচর পৌরসভার ৩২৯ টি ঘরের মধ্যে ১৯ টি ঘর ভিটি পাকাকরণ ও টয়লেট নির্মাণসহ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। তবে ভিটি পাকাকরণ ও টয়লেট নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, ছেঙ্গারচর পৌরসভায় মোট ৩২৯ টি ঘর নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৩১০টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঘরগুলো হতদরিদ্র পরিবারদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ঘরগুলোর নির্মাণ শেষ হলেই পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এখনো কিছু ঘরের ভিটি পাকা ও টয়লেট নির্মাণ কাজ চলছে। আশা রাখি দ্রুত এ কাজ শেষ হয়ে যাবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন মজুমদার জানান, ছেংগারচার পৌরসভায় ৩২৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। এর মধ্যে ৩১০টি ঘরের নির্মাণ ও টয়লেট নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। অচিরেই সকল ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। এতে করে এলাকার হতদরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে ও কর্মসংস্থান লাভ করেছে।

পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ঘনিয়ারপাড় গ্রামের নবীর হোসেনের স্ত্রী তামান্না আক্তার (৩০) জানান, আমরা ঘর পেয়ে মহাখুশি। বর্তমান সরকার আমাদেরকে ঘর দিয়েছেন। এ ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। এ সরকার আমাদেরকে বাসস্থান দিয়েছে ও কর্মসংস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছে।

ঘনিয়ারপাড় গ্রামের মোঃ জাফর ইকবাল জানান, আমার ঘর নাই। সরকার আমাদেরকে ঘর দিয়েছে। অহন আমি স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক সুখে আছি। আমার ছেলে-মেয়েরা মনের আনন্দে নতুন ঘরে বসবাস করছি।

গত ২ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ছেংগারচার পৌর এলাকার নব নির্মিত ৩২৯টি ঘরের মধ্যে ৩১০টি ঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এছাড়া যে কয়েকটি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে সেগুলোও তিনি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হতদরিদ্র পরিবারদের সাথে কথা বলেন।

এবিএন/শ্যামল চন্দ্র দাস/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ