আজকের শিরোনাম :

দূর্গা পুজা সমাগত, ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫৩

সনাতন ধর্মাম্বলীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা সমাগত। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে পুর্দোমে। আর তাই সময় মত মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা তৈরী নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। তবে প্রতিমা তৈরীর উপকরনের দাম ও শ্রমিক মজুরী বেড়ে যাওয়ায় মালাকররা(মৃৎশিল্পী) পড়েছেন বিপাকে। একদিকে মন্ডবের সংখ্যা কমে যাচ্ছে অপরদিকে আশানুরুপ উপার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা । 

আগামী ১৫অক্টোব^র থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শারদিয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে মন্ডবে মন্ডবে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গা পূজা।পুজা শুরুর কয়েকদিন বাকী থাকলেও ঘুম নেই মালাকরদের চোখে। পরিবারের সকলকে নিয়ে প্রতিমা তৈরীর কাজে তারা এখন ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে। বছরে একটি বারই এরকম সুযোগ আসে তাদের হাতে। তাই ১মাস আগে থেকেই চুক্তি নিয়ে কিংবা মজুরীর ভিত্তিতে কাজ শুরু করে তারা।

প্রতিমা তৈরীর উপকরনের দাম ও শ্রমিক মজুরী বেড়ে যাওয়ায় মালাকররা পড়েছেন বিপাকে। তাই লাভ-ক্ষতির কথা চিন্তা না করে অনেকটা ধর্মীয় অনুভূতির দৃষ্টি নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা গুলো মৃৎশিল্পের নিপুন আঁচড়ে আকর্ষনীয় করে মন্দিরে স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

উপজেলার সবুজপাড়া সার্বজনীন পুজা মন্ডবে প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত মালাকর(প্রতিমা শিল্পী)  শ্রী বিমল চন্দ্র ও জগদিশ চন্দ্র মালাকরের সাথে কথা হলে তিনি জানান,স্বাভাবিক ৭টি মূর্তী অর্থাৎ গণেশ, লক্ষি, দুর্গা, স্বরস্বতি, কার্তিক, অশুর ও সিংহ স্ব-স্ব বাহনসহ তৈরী করলে প্রতি মন্ডব ১২ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত মূর্ত্তির জন্য বেশী টাকা চুক্তি নিয়ে কাজ করছি, এবারে ১১টি মন্ডবের কাজ চুক্তি নিয়ে পুজা শুরুর ১মাস আগে থেকে কাজ করে আসছি।

রণপাগলী সার্বজনীন মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পী উজ্জল চন্দ্র বলেন,প্রতিমা তৈরীর উপকরণ ও শ্রমিক মজুরী বেড়ে যাওয়ায় আমরা প্রতিমা তৈরী থেকে খুব একটা আয় করতে পারিনা,তবুও ধর্মীয় দৃষ্টিতে করতে হয় তাই এ কাজ করছি।

উপজেলার রনপাগলী সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সভাপতি ধীরেন্দ্র নাথ বর্ম্মন বলেন, দূর্গাসহ অন্যান্য মূর্তি গুলি তৈরী করতে মালাকর নিয়েছে ১৬ হাজার টাকা। অন্যান্য খরচ মিলে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় হয়। তিনি সরকারী সহায়তা কামনা করেন।

সেই সাথে সমান তালে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকি ও ডেকোরেটর কর্মীরা। ঢাকিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাক মেরামতের কাজ নিয়ে আর মন্দিরের সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত ডেকোরেটর কর্মীরা।

বাংলাদেশ পুঁজা উদযাপন পরিষদ চিলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি ডাঃ সলিল কুমার জানান,গত বারের তুলনায় এবারে পুজা মন্ডপের সংখ্যা বেশী। উপজেলায় মোট ৩১টি মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারী কিংবা বে-সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গেলে শারদীয় দুগোৎসব সার্বজনীন উৎসবে রুপ নিত বলে আমি মনে করি। 

এবিএন/গোলাম মাহবুব/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ