মানিকগঞ্জে ৫০১ টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পুজার অায়োজন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৫৩
অার ২ দিন পর আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে বাঙ্গালী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে। বর্ণাঢ্য ধর্মীয়, সামাজিক ও সাস্কৃতিক উৎসবে মেতে উঠবে সারা দেশের মতো মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলা।
পঞ্জিকা মতে, এবার দুর্গা দেবীর ঘোটকে আগমন এবং দোলায় গমন। শরৎকালে দেবতাদের হয়ে অসুরকে ধ্বংস করার লক্ষে পৃথিবীতে দুর্গার আগমন ঘটে। শরৎকালে দেবীর এ পুজাকে বলা হয় অকাল বোধন।
মানিকগঞ্জে ৫০১ টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পুজার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিমার সকল সাজ সজ্জা শেষে এখন মন্দিরের বাহিরে রকমারি লাইট ও গেট তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পূজা মন্ডপ কমিটি।
মানিকগঞ্জে দুর্গোৎসবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষ অংশ গ্রহন করে। রাজনৈতিক, সামাজিক সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আসেন প্রতিটি মন্দিরে শুভেচ্ছা জানাতে। সমস্ত বিভেদ ভুলে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে মিলন মেলায় পরিনত হয়।
মানিকগঞ্জের বানিয়াজুরী অমুল্য মালাকারের বাড়িতে এবং ঘিওর কচি কাঁচা মিলন সংঘ, শতদল সংর্ঘের উদ্যোগে সবচেয়ে ব্যয় বহুল ভাবে প্রতিমা তৈরি করা হয়। হাজার হাজার লোকজন প্রতিমা দেখতে এখানে সমবেত হয়।
জানা গেছে, মনিকগঞ্জের জেলা সদরে ৭৭টি, পৌরসভায় ২৭টি, ঘিওরে ৬৩টি, শিবালয়ে ৮৭টি, দৌলতপুরে ৪৮টি, সিংগাইর পৌরসভায় ১১টি, সিংগাইর সদরে ৬১টি, হরিরামপুরে ৬৩টি, সাটুরিয়া ৬৪টি সহ মোট ৫০১টি মন্দিরে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে গত বছর ৪৭০টি মন্দিরে পুজা অনুষ্ঠিত হয়। মানিকগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে এবার ৩১টি পুজা বেশি হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) এএসপি আব্দুল হামিদ সিদ্দিকী জানায়, গতবারের চেয়ে এবার প্রতিটি পূজামন্টপে বেশী সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে। জেলার পুজা মন্ডপ গুলোর নিরাপত্তা জোড়দার বাড়াতে গতবারের চেয়ে ১ হাজার আনসার সদস্য বেশি চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১শ বেশী চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে মন্টপ ভেদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েত করা হবে।
মানিকগঞ্জ জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডঃ অসিম কুমার বিশ্বাস জানায়, ব্যাপক আনন্দ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জে সকল সম্প্রদায়ের লোকজন একত্রিত হয়ে শারদীয় উৎসবে আনন্দ উল্লাস করে। পূজা উৎযাপন কমিটির উদ্যোগে একটি টিম সার্বক্ষনিক মন্দিরগুলো পরিদর্শন করবে। ইতোমধ্যে আমরা ৭টি উপজেলার মন্দিরের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। জেলায় এবার ৫০১টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা মন্ডপ গুলোর প্রতিমার সাজগোছ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে পূজা মন্ডপ চত্তর ও এর বাইরে গেট সাজসজ্জার কাজ।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, শারদীয় দুর্গোৎসবে আইন শৃঙ্খলা সুন্দর ও স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ, আনসার মোতায়ন করা হবে। মোবাইল টিম সার্বক্ষনিক মন্দিরগুলো পরিদর্শন করবে। শহরের এবং উপজেলার সব মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস. এম ফেরদৌস জানান, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ একটি দেশ। আবহমানকাল থেকে আমাদের এ দেশে হিন্দু, মুসলমান বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন মিলে মিশে বাস করে। কাজেই দুর্গা পূজাটি সার্বজনীন।
এবিএন/মো: সোহেল রানা খান/জসিম/নির্ঝর
এই বিভাগের আরো সংবাদ