আজকের শিরোনাম :

সদরপুরে আইপিএল নিয়ে জুয়া

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০১৮, ১৭:৪৬

সদরপুর (ফরিদপুর), ১৯ মে, এবিনিউজ: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা শহরে ভারতে অনুষ্ঠিত ‘ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ’ আইপিএল ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়ায় বাজিকরদের তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধু শহরেই নয় এ বাজী ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামঞ্চল। আর এ খেলা খেলে সর্বশান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে বিত্তবান মানুষেরাও এ জুয়া খেলছে। সেই সাথে ক্রিকেট জুয়াতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশী ব্যাবসায়ীরাও বেশ ঝুকে পড়ছেন। বিকেল হওয়ার সাথে সাথেই টিভিতে আবার কেউ মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খেলা শুরু হওয়া পর্যন্ত চোখরেখে বসে থাকে। খেলা শুরু হলেই শুরু হয় তাদের বাজীধরা।

জানা গেছে, সদরপুর উপজেলা শহরের কাঁচাবাজার,মাছবাজারসহ বিভিন্ন মহল্লায় এখন বিকেল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এই ক্রিকেট জুয়ার আসর জমজমাট ভাবে চলে। কয়েকটি চায়ের দোকানেও আড্ডা জমিয়ে এসব জুয়ারুরা তাদের ইচ্ছে মত বাজি ধরছে। কিছু কিছু জায়গায় এ জুয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদের খবরও পাওয়া গেছে।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার কালি খোলা মোড় ওমর টেলিকম, পিয়াজখালী, বাজার, ভাষানচর, মনিকোঠা,বাবুরচর বাজারে এই বাজিকরদের আস্তনা রয়েছে। তাদের তথ্য আদান প্রদানে মধ্যস্তকারী একজন রয়েছে সে খাতায় লিখে এই বাজির টাকা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। কোন খেলায়ার কত রান করবে, কে কয়টা ছয় মারবে, আবার কোন দল জিতবে তার হিসাব নিকাস আগে ভাগেই করে রাখছে। কেউ কেউ মোবাইলে আগে থেকেই সব দরদাম ঠিক করে রাখছে।

এ ছাড়াও এক ওভারে কত রান করবে, ১০ ওভারে কয়টা উইকেট পড়বে, এভাবে বাজি ধরা হচ্ছে। আর এতে বাজি ধরছে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত। আর এসব বাজিকররা নিজেদের আড়াল করতে ছদ্বনামে ১০০ টাকাকে ১ টাকা, ৫০০ টাকাকে ৫ টাকা, ১০০০ টাকাকে ১০ টাকা বলছে। এছাড়াও আরেকটি নাম সংকেত হিসাবে ব্যবহার করছে এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার হলে চিকন এবং পাঁচ থেকে দশ হাজার হলে মোটা নাম ব্যবহার করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদরপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, এই ক্রিকেট বাজিতে কেউ চড়াসুদে ঋন নিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। ঋনের টাকা শোধ করতে না পারায় প্রতিনিয়ত লাভ দিতে হচ্ছে। এভাবে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে।

একইভাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ছেলেরা টাকা না থাকলে, বাড়ী থেকে টাকা চুরি করে, কেউ নিজের ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোন পর্যন্ত বন্ধক রেখে হলেও এ ক্রিকেটে বাজি ধরছে। প্রশাসন একটু নজর দিলেই এ জুয়া বন্ধ করা সম্ভাব হবে বলে তারা মনে করেন।

এবিএন/সাব্বির হাসান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ