বাউফলে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১৯
পটুয়াখালীর বাউফলের বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে রোগের প্রাদূর্ভাব বলে চিকিৎসকদের ধারনা।
সরেজমিন আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় অর্ধশত শিশু চোখে পড়ে। পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসময়ও রোগী আসার দৃশ্য দেখা যায়। ৫০ শয্যার হাসপাতালের সবগুলো বেডে ডায়রিয়া ও নিওমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু। কোন বেড খালি নেই। এদের মধ্যে অধিকাংশই এক বছরের কম বয়সী। একই সময় কয়েক রোগী কেবলমাত্র ব্যবস্থাপত্র নিয়েই হাসপাতাল ছাড়ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি দাশপাড়া গ্রামের ইব্রাহীম (৯ মাস), একই গ্রামের হালিমা (২মাস), তাসনিম ( দেড় মাস) ধানদী গ্রামের আয়শা (৭ মাস), ছাবিদ (৯ মাস), জুনায়েত (৮ মাস), চাঁদকাঠি গ্রামের আলামিন (১ মাস) এশা মণি (৭ মাস), শৌলা গ্রামের রফিকুল(১১ মাস) ফাহিম (দেড় মাস) তুষার (৪ মাস), ইযাসিন (৭ মাস), দশমিনা উপজেলার বগুড়া গ্রামের মরিয়ম (১৭ মাস) আবদুল্লাহ (২ মাস), চন্দ্রদ্বীপ গ্রামের তরিকুল(১৮ মাস) তাসিম (১১ মাস), ইউসুফ (৫ মাস), বিলবিলাস গ্রামের ইশাণ (৪ দিন), মদনপুরের আলিফ (২), ধানদী গ্রামের দেড় মাস বয়সী নাবিলা, নাজিরপুরের রায়হান (২), মাহিন(২), চন্দ্রপাড়ার তুহিন (১০ মাস), জান্নাতুল (১০ মাস), নওমালার আমেনা (৭ মাস), মমিনপুরের হাসিব (৪ মাস), সোহাগ (১ বছর)সহ অর্ধশতাধিক শিশুর। এ নিয়ে গত তিন দিনে প্রায় শতাধিক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক কয়েক অভিভাবক জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক তাদেরকে বাহির থেকে ঔষধ কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে বগা, কনকদিয়া, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুরের বিভিন্ন চরাঞ্চলে ডায়রিয়া ও নিওমোনিয়ায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনে রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ার মূহুর্তে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষুধপত্র সংকটের দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বাউফলের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ আর আই, সিবিএ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদেরই কেবল ভর্তি করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন রোগীকে অন্যত্র রেফার করার প্রয়োজন হয়নি। এখানে পর্যাপ্ত ঔষুধপত্র নেই, তাছাড়া সব ওষুধ সরকারিভাবে দেয়া সম্ভব না। কিছু ঔষুধ বাহির থেকে ব্যবস্থা করতে হবে।
এবিএন/মোঃ দেলোয়ার হোসেন/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ