আজকের শিরোনাম :

কাউখালীতে এক নারীকে রগ কাটার দায়ে কারাদন্ড ৪

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৭

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের ময়না আক্তার (২৩) নামে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই পায়ের রগ কেটে পঙ্গু করে দেওয়ার দায়ে সাবেক স্বামীসহ চার জনকে ২৪ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

 দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলো, ময়না আক্তারের সাবেক স্বামী ঝালকাঠি সদর উপজেলার বারুহার গ্রামের মৃত আকুব্বর আলী মৃধার ছেলে শহিদুল মৃধা (৩০), শহিদুল মৃধার বড় ভাই নজরুল মৃধা (৪৭), কাউখালী উপজেলার পূর্ব মাগুরা গ্রামের আব্দুল বারেক সিকদারের ছেলে শহিদ সিকদার (৩২) ও একই উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩০)।
 ময়না আক্তারকে অপহরণের দায়ে প্রত্যেক আসামিকে ১৪ বছর কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

 এছাড়া পঙ্গু করে দেওয়ার দায়ে প্রত্যেক আসামিকে ১০ বছর কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের ইমাম মৃধার মেয়ে ময়না আক্তারের সঙ্গে শহিদুল মৃধার বিয়ে হয়। পরে তাদের মধ্যে বনিবনা না হলে ময়না আক্তার শহিদুল মৃধাকে তালাক দেন। এতে শহিদুল মৃধা প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।  
২০১৬ সালের ২ মার্চ রাতে ময়না আক্তার বাবার বাড়িতে টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় আসামিরা ময়না আক্তারকে মুখ চেপে জোর করে তুলে একটি মাঠে নিয়ে যায়। এরপর তারা ধর্ষণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়।

 ঘটনার পরদিন ময়না আক্তারের বাবা ইমাম মৃধা বাদী হয়ে শহিদুল ও নজরুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর ও দুইজনকে আসামি করে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা কাউখালী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলো। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌসুলি (বিশেষ পিপি) আব্দুর রাজ্জাক খান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন।

 

এবিএন/সৈয়দ বশির আহম্মেদ/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ