আজকের শিরোনাম :

হাটহাজারীতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় আটক ২

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৪১

হাটহাজারীতে এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে,যার নাম্বার-১০.০৭/১০/২০১৮ইং।

এদিকে রোববার রাতেই অভিযুক্ত দুই বখাটে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হল- মির্জাপুর ইউনিয়নের খলিফাপাড়া এলাকার মৃত ফজল হক মেম্বারের পুত্র মো. হোসেন মনা এবং একই ইউনিয়নের হাশেমনগর এলাকার মৃত বদিউল আলমের পুত্র মো. মাসুম (২৯)। ঘটনায় জড়িত একই এলাকার ফজল হক মেম্বারবাড়ির মো. নুরুছাফার পুত্র মো. আজম (২৩) পলাতক রয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে স্থানীয় রিক্সাচালকের কিশোরী কন্যা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা এলাকার বখাটে যুবক আজম (২৩), মাসুম (২৯) ও মনা (২২) তার মুখে কাপড় পেঁচিয়ে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।পরে বখাটেরা কিশোরীকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তারা ধর্ষিতাকে ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করে লাশ গুম করার ভয় দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ভিকটিমের পরিবার বখাটেদের ভয়ে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্যও ঘর থেকে বের করতে পারেনি।

 শনিবার সন্ধ্যার দিকে ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বখাটেদের চোঁখ ফাকি দিয়ে ধর্ষিতাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

ভিকটিমের বড় ভাই জানান, ঘটনার পর থেকে বখাটেদের হুমকিতে আমরা গৃহবন্দী ছিলাম। ফলে আমার বোনকে সময়মত চিকিৎসা দেয়া যায়নি। শনিবার সন্ধ্যার দিকে গোপনে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আমার বোন চমেক এ চিকিৎসাধীন আছে।

হাটহাজারী মডেল থানার ওসি(তদন্ত) শামীম শেখ সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় মামলা হবার পর অভিযান চালিয়ে ২ জন আসামীকে আটক করেছি। প্রাথমিক ভাবে তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। অপর একজনকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য,গত ১৪ মেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা শাহজালাল পাড়ার একটি ভবনে তুহিন নামের এক স্কুল ছাত্রীকে একই ভবনের চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া শাহনেওয়াজ মুন্না নামের এক বখাটে তার বাসায় নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে ড্রয়িং রুমের সোফার নিচে লুকিয়ে রাখে। ঐ ঘটনায় নিহতের ভাই হত্যা মামলা করলে মুল আসামী মুন্নাকে আটক করা হয়, তবে এখনো পর্যন্ত মামলার অপর ২ আসামীকে আটক করা যায়নি বলে সূত্রে জানা গেছে।


এবিএন/আলাউদ্দীন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ