অভয়নগরে নিষিদ্ধ পোল্ট্রি লিটারে সয়লাব: হুমকির মুখে পরিবেশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:১৭
সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে এবং সরকারী রাস্তার দুপাশ ঘেষে মৎস্য ঘের করে রাস্তা নষ্ট করে ও ঘেরে নিষিদ্ধ পোল্ট্রি লিটার দিয়ে পরিবেশ দূষণ করে চলেছে অভয়নগর এলাকার কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী।
বার বার পত্রিকায় খবর প্রকাশ করা ও মাঝে মাঝে জরিমানা করেও বোধোদয় হচ্ছেনা এই ব্যবসায়ীদের। উপজেলার ধোপাদী, সুন্দলী, চলিশিয়া, ডুমুরতলা, পায়রা, মশিয়াটিসহ মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সরকারি রাস্তার দুপাশ ঘেষে ঘের করে রাস্তা নষ্ট করছে প্রায় পঁচিশ-ত্রিশটি মৎস্য ঘের মালিক। এরা জনগণের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা না করে বছরের পর বছর ঘেরগুলিতে নিষিদ্ধ পোল্ট্রির লিটার দিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছে।
প্রশাসনের নজরদারি থাকা সত্বেও তিলক মল্লিক, কল্যাণ মন্ডল, প্রকাশ রায়, সুষেন মন্ডল, ফকির বিশ^াস, নির্মল মন্ডল (ঠাকুর দাস), হেমন্ত গোলদার (ডাক্তার), বুধো গাইন, তপন বিশ^াস, তপন সরকার, চেচান মন্ডলসহ অনেক ঘের মালিক প্রতিনিয়ত এ ধরনের কাজ করেই চলেছেন। ব্যবসায় বেশি লাভের প্রত্যাশায় রাস্তার দুপাশ ঘেষে যেমন মৎস্য ঘের করেছেন তেমনি সমানে দিচ্ছেন পোল্ট্রির লিটার। এতে মাঝে মাঝে সরকারি রস্তার দুপাশ ভেঙে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে।
মণিরামপুর-নওয়াপাড়া এই এলাকার ব্যাস্ততম সড়ক হওয়ায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষকে নিজেদের প্রয়োজনে যাওয়া আসার পথে ভুগতে হচ্ছে দূর্বিসহ দুর্গন্ধে। রাস্তায় চলাচলকারী অসংখ্য পথচারীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকি।
কিন্তু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা সরকারী রাস্তার দুপাশ ঘেষে মৎস্য ঘের করে বছরের পর বছর নিষিদ্ধ পল্ট্রী লিটার দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। পোল্ট্রি লিটারের গন্ধে আমাদের নাকে কাপড় বেধে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয়। আমরা এই নিষিদ্ধ পোল্ট্রি লিটার মৎস্য ঘেরে দিতে নিষেধ করলে তারা উল্টো আমাদের ধমক দেয়। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। রাস্তার গা ঘেষে যেমন আছে মৎস্য ঘের তেমনি আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানকার শিক্ষার্থীরা জানায়, পোল্ট্রি লিটারের গন্ধে আমাদের স্কুলে আসার সময় নাকে রুমাল দিয়ে আসতে হয়।
মাঝে মাঝে আমরা গন্ধে স্কুলেও টিকতে পারি না। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে থাকতে হয়। গন্ধের কারনে আমাদের কারো কারো বমিও হয়।
এ বিষয়ে কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা বলেন, আমরা অনেকবার ঘের মালিকদের পোল্ট্রি লিটার দিতে নিষেধ করেছি, তারা আমাদের কথা শোনে না। সারাক্ষণ এইভাবে গন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীসহ আমরা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ব।
তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরাও একই কথা বলেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত বছর একবার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কিছু ঘের মালিকদের জরিমানা করলে কিছুদিন পোল্ট্রি লিটার ঘেরে দেওয়া বন্ধ ছিল এবার তারা আবারও সোচ্চার হয়েছে। এই সকল অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
এবিএন/সেলিম হোসেন/জসিম/তোহা
এবিএন/সেলিম হোসেন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ