আজকের শিরোনাম :

ডোমার-ডিমলায় কে হবে নৌকার মাঝি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:২৩

আর দুই মাস পরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওমী লীগের একাধিক প্রার্থী দলিয় মনোনয়নের আশায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়াও মাঠে রয়েছে নবীন-প্রবীন প্রায় অর্ধডজন প্রার্থী।প্রার্থীদের ব্যানার ফেষ্টুনে ছেয়ে গেছে ডোমার-ডিমলার অলিগলি।সরকারের উন্নয়ন ফিরিস্তিসহ নানা রকম ব্যানার-ফেষ্টুনে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন তারা। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকায় জনগন অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে কে পায় দলীয় মনোনয়ন।

বর্তমান এমপি ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,সাবেক রাষ্ট্রদুত,ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল,কেন্দ্রিয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও ব্যারি¯টারও রয়েছে মনোনয়নের প্রত্যাশায়।কেন্দ্রের আর্শীবাদ পেতে তারা ইতিমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 বিভিন্ন সভা সমাবেশ থেকে শুরু করে সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে তাদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করার মতো। নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা) আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। মহাজোটে নির্বাচন হলে আসনটি জাতীয়পার্টি পেতে পারে বলে জনগনের ধারনা থাকলেও আসনটি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ছাড় দিতে নারাজ।

আ.লীগের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে আলাপ কালে জানাগেছে, এই নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান এমপি আফতাব উদ্দিন ছাড়াও দলীয় মনোনয়নের আশায় ৬ প্রার্থীকে মাঠে দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে সাবেক এমপি ড.হামিদা বানু শোভা,সাবেক রাষ্ট্রদুত ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুল হোসেন সরকার,ডেপুটি এটর্নী জেনারেল এ্যাড. মনোয়ার হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রিয় নেতা সরকার ফারহানা আক্তার সুমি ও ব্যারিষ্টার ইমরান কবির জনি।

ড.হামিদা বানু শোভা সাবেক এমপি। দলের সমর্থন পেতে তিনি কেন্দ্রের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্টরা। অপরদিকে ডেপুটি এটর্নী জেনারেল এ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন গত দশ বছর ধরে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন। তিনি ঢাকায় থাকলেও প্রতিসপ্তাহে ঢাকা থেকে এসে এলাকার মানুষের সাথে গণসংযোগ করে ব্যাস্ত সময় পার করতে দেখা যায় তাকে।

সাবেক রাষ্ট্রদুত আমিনুল হোসেন সরকারও নির্বাচনী বিভিন্ন এলাকায় গন সংযোগ চালিয়ে আসছেন।দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি চষে বেড়াচ্ছেন ডোমার-ডিমলার অলিগলি।বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় নেতা ও যুব মহিলালীগ কেন্দ্রীয় সহ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়ীত্বে থেকে সরকার ফারহানা আক্তার সুমি আসনটিতে মনোনয়ন পেতে ছুটছেন তৃনমূল মানুষের দ্বারে দ্বারে।

অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল দীর্ঘদিন থেকে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।অধ্যাপনার সাথে যুক্ত ছিলেন। প্রায় ২যুগ উপজেলা আ’লীগের শীর্ষ পদে থেকে স্থানীয় রাজনীতিবীদদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। এই সকল দিক বিবেচনায় তিনিও শক্ত অবস্থানে আছেন।

স¤প্রতি তিনিও সমর্থন পেতে দলের হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন । অপরদিকে রাজনৈতিক পরিবারের আরেক নেতা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ব্যারিষ্টার ইমরান কবির চৌধুরী জনি ও মনোনয়নের আশায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তার দাদা এলাকার সাবেক এমপি ছিলেন।

বাবা ছিলেন রাজনীতিবীদ, দীর্ঘদিন বিদেশে লেখাপড়া করে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখার আহবায়ক হিসাকে দায়ীত্বে থেকে বর্তমানে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করছেন।

বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার ক্ষমতায় থেকে স্কুল কলেজের উন্নয়ন করলেও পৌর এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নতি না হওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। তবে এমপি আফতাব দাবী করেন,ডোমার-ডিমলা যে কোন সময়ের তুলনায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

 আগামীতে ক্ষমতায় এলে বাকী কাজগুলো সমাপ্ত করবেন।আওয়ামী লীগের এত প্রার্থীর ভিরে কে পায় মনোনয়ন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা)আসনের মানুষ। শেষ পর্যন্ত কে হবে নৌকার মাঝি সেটাই এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে এই এলাকায়।

 

এবিএস/আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ