আজকের শিরোনাম :

আশাশুনিতে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, শিক্ষককে বদলি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১৮

আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্রামে এক স্কুল শিক্ষক কর্তৃক ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানী অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

এ ব্যাপারে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় স্কুল শিক্ষককে ডেপুটেশনে বদলি করা হয়েছে।    

ফকরাবাদ এলাকার এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মলয় কৃষ্ণ মন্ডল সরকারি নিয়মনীতির তুয়াক্কা না করে নিজের বাড়িতে সকাল-বিকাল-রাতে প্রাইভেট পড়ানোর কাজ করে থাকেন।

প্রতিদিন সকালে স্কুল শুরুর আগ পর্যন্ত সাড়ে ৬টা থেকে বেলা ৮ টা পর্যন্ত, বিকালে স্কুল ছুটির পর সাড়ে ৬ টা থেকে থেকে রাত্র ৯ টা পর্যন্ত ৩০ জন করে গ্রুপে একাধিক গ্রুপে প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন। প্রত্যেকের নিকট থেকে দেড় শত থেকে আড়াই শত টাকা করে বেতন আদায় করা হয়।

২৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষক প্রাইভেট পড়তে আসা জনৈক রিক্সা চালকের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করেন। বিষয়টি মেয়ের পিতা জানতে পেরে প্রধান শিক্ষকসহ অনেককে অবহিত করেন। পিতা তার মেয়েকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে না পেয়ে অভিযোগ দিতে পারেননি।

এ সুযোগে শিক্ষক মলয় স্থানীয় কিছু মানুষকে হাত করে নিয়ে মেয়ের পিতার উপর চাপ প্রয়োগ করে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালান। সবশেষে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মলয় কৃষ্ণ জানান, তার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ সঠিক নয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোসাঃ শামসুন্নাহার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলি, সরেজমিন গিয়ে মেয়ে, প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে কথা বলি।

মেয়ের জবানবন্ধিসহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন, প্রাইভেট পড়ান এবং প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর শিক্ষককে ডেপুটেশনে রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। উন্নয়ন মেলার কারনে ব্যস্ত থাকায় পরবর্তী কার্যক্রম করতে পারেনি।

এবিএন/জি এম মুজিবুর রহমান/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ