আজকের শিরোনাম :

সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথধামকে জাতীয় তীর্থ ঘোষণার করার দাবী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:২০

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পীঠস্থান কলিযুগের মহাতীর্থ সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধাম।  সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক পূণ্যময় তীর্থস্থান। অথচ এই তীর্থ রাষ্ট্রীয়ভাবে অবহেলিত। বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও উর্দ্বতন কর্মকর্তারা এইস্থানকে জাতীয় তীর্থকেন্দ্র হিসেবে ঘোষনার আশ্বাস দিলেও সনাতনী সম্প্রদায়ের এই প্রত্যাশা এখনো পুরণ হয়নি।

বক্তারা আরো বলেন, দেশের সনাতন সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এ তীর্থ স্থানটিকে জাতীয় তীর্থ ঘোষণা করা। অথচ চন্দ্রনাথধামকে জাতীয় তীর্থের আওতায় এনে কোটি কোটি টাকা আয়ের সমূহ সম্ভাবনা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব ভুমিকা পালন করছে।

শুক্রবার সীতাকুণ্ড মেলা কমিটির উদ্যোগে স্নাইন স্টেট এনজি সাহা যাত্রী নিবাস প্রাঙ্গনে ‘ সীতাকুণ্ড মেলা পুনমিলর্ণী ও ভবিষ্যতে মেলাকে আরো সুন্দরও, সক্রিয় ও সকলের অংশগ্রহন নিশ্চিতকরণ এবং চন্দ্রনাথ মহাতীর্থসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক উন্নয়নে সকলের সম্মিলিত সমন্বয় উদ্যোগ” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা একথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, হামিদউল্লা হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার নাথ এবং মধ্যম মহাদেবপুর ভোলাগিরী পুজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি তপন চক্রবর্তী। অধ্যাপক সুনিল বন্ধু নাথ এর সভাপতিত্বে এবং সীতাকুণ্ড মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাক (ভারপ্রাপ্ত) পলাশ চৌধুরী সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে মতামত উপস্থাপন করেন, সীতাকুণ্ড স্নাইন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন দাশ, পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল পালিত, সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব, চট্টগ্রাম সনাতন বিদ্যার্থী সংঘের প্রধান উপদেষ্ঠা মিলন শর্মা, ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (অপারেশন) রাজিবুল ইসলাম,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র চক্রবর্তী , চট্টগ্রামস্থ সীতাকুণ্ড সমিতির সভাপতি লায়ন গিয়াস উদ্দিন, বাড়বকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, সীতাকুণ্ড পৌর ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, সাবেক সম্পাদক রেজাউল করিম বাহার।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন, সীতাকুণ্ড পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্ঠা প্রেমতোষ দাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দে, সহ-সভাপতি সজল কুমার শীল, সীতাকুণ্ড জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় বিশিষ্টজনেরা কয়েকটি সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন, তা হলো- সীতাকুণ্ড মেলা কমিটিতে বিভিন্ন আলংকরিক পদ, পদাধিকার বলে সদস্য সহ বিশাল সংখ্যক সদস্য নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়ে থাকে। প্রকৃত অর্থে এত বিপুল সদস্যের কমিটি বাস্তবিক অর্থে তেমন কোন ভূমিকা পালন করে না। ভবিষ্যতে কমিটি গঠনকল্পে অন্তত পোর্ট পোলিও পদগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্তরা অবশ্যই নিঃস্বার্থভাবে সার্বক্ষনিকভাবে সময় দিতে হবে।

মেলা কমিটির কোন পোর্ট পোলিও পদগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ মেলায় কোন প্রকার লাভ জনক কাজের সাথে জড়িত থাকা উচিৎ হবে না, সীতাকুন্ড মেলাকে সক্রিয় ও স্থায়ীত্বশীল করতে হলে কমিটির নিজস্ব স্বকীয়তা অর্থাৎ স্বয়ং সম্পূর্ণ অবস্থান তৈরী করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

মহাতীর্থ চন্দ্রনাথ ধামের অধীনস্থ সকল মন্দিরের পরিচালনা, সম্পত্তিসমূহ রক্ষনাবেক্ষন, সার্বিক ব্যবস্থাপনা করার আইনসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান সীতাকুন্ড স্নাইন কমিটি। স্নাইন কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠিত সকল ধর্মীয় মন্দিরে নিয়মিতভাবে সম্পূর্ণ ভাবগাম্ভির্য্যতার সাথে পূজা অর্চনা সম্পাদন করা অতীব প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এই মুহুর্তে উদ্যোগ গ্রহণ করা। কোন প্রকার লোভ, হিংসা, বিদ্বেশ, ব্যক্তি স্বার্থে কোন কিছুর বিনিময়ে কোনভাবেই নিজেদেরকে সমর্পন করবো না। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নের্তৃবৃন্দ নিজেরা ঐক্যবদ্ধভাবে সু সমন্বয়ের মাধ্যমে মহাতীর্থ উন্নয়নে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়া।


এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ