শিবগঞ্জে আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে ৫পরিবার সর্বশান্ত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৫৫
ঢাকা বিমান বন্দরে বিদেশ ফেরৎ বেলালের সাথে পরিচয় হয় অাদম ব্যাপারী মিজানের। পরিচয় থেকে উভয়ের মধ্যে গড়ে ওঠে সখ্যতা। এই সখ্যতার খাতিরে বেলালের বিশ্বাস অর্জন করে তার বাড়িতেই বেশির ভাগ সময় কাটায় সে। নিজের এলাকা না হলেও এলাকার প্রভাবশালী ধনী ব্যক্তি বেলালের বন্ধু সে।
অার সে সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ঐ গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবককে বেশি বেতনে বিদেশে লোভনীয় চাকরীর অফার দেয় এ অাদম সম্রাট। অবশেষে তার খপ্পরে পড়ে ৫ পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে। ইরাকে ভালো বেতনে চাকুরির প্রলোভন দিয়ে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে মিজান।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার কিচক ইউনিয়নের শোলাগাড়ী গ্রামে।ওই গ্রামের আজবর আলীর ছেলে প্রবাসী বেলাললের বন্ধুত্তের সুযোগ নিয়েছিলো জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের মাকুল গ্রামের সাকাওয়াত হোসেনের ছেলে মিজান।
বেলাল সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবেশি একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাজু মিয়া ও খালাতো ভাই কালাই উপজেলার পুনট ভুগোইল গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে রাশেদকে ভালো বেতনে ইরাকে পাঠানোর জন্য ৬ লাখ ৫০হাজার টাকা চুক্তি হয় তার ঘরে বসে। চাচা ঠান্ডা মিয়া ও তার বিশ্বাসে ঢাকা বনানী সোনালী, পূবালী ব্যাংক এবং জয়পুরহাট পূবালী ব্যাংক শাখায় টিটি স্লিপে ৬ লাখ ৫০হাজার টাকা জমা দেন কালাম। কিন্ত প্রায় একবছর অতিবাহিত হলেও তাদের না পাঠিয়ে শুধু তালবাহানা করছে। মিজান এখন আর ফোন রিসিভ করে না। এ নিয়ে কয়েক দফা শালিস দরবারে মিজানের ভাই মোমেন ও আত্মীয় দেলোয়ার হাজী এসব কিছুর দায় দায়িত্ব নিয়েছে। বেলাল আরো জানান, তারা জানতে পেরেছে মিজান বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দিয়ে একই কায়দায় শিবগঞ্জে জাঞ্জালপাড়ার ইদ্রিস আলী, হুদাবালা গ্রামের বিরাজ মেম্বার ও ভাইয়ের পুকুরের রতন আলীর কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে ওই পরিবারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছেলের চাকরির জন্য ফসলী জমি ও গরু বাছুর বেচে তারা টাকা দিয়েছে মিজানের হাতে। এখন তারা সর্বশান্ত পথে বসা ছাড়া তাদের কোন উপায় নেই। বিষয়টি জানতে মিজানের কয়েকটি মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ ও পাঁচবিবি থানায় অভিযোগ করা হলে মিজান পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে উধাও। এবিএন/খালিদ হাসান/জসিম/রাজ্জাক
বেলাল সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবেশি একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাজু মিয়া ও খালাতো ভাই কালাই উপজেলার পুনট ভুগোইল গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে রাশেদকে ভালো বেতনে ইরাকে পাঠানোর জন্য ৬ লাখ ৫০হাজার টাকা চুক্তি হয় তার ঘরে বসে। চাচা ঠান্ডা মিয়া ও তার বিশ্বাসে ঢাকা বনানী সোনালী, পূবালী ব্যাংক এবং জয়পুরহাট পূবালী ব্যাংক শাখায় টিটি স্লিপে ৬ লাখ ৫০হাজার টাকা জমা দেন কালাম। কিন্ত প্রায় একবছর অতিবাহিত হলেও তাদের না পাঠিয়ে শুধু তালবাহানা করছে। মিজান এখন আর ফোন রিসিভ করে না। এ নিয়ে কয়েক দফা শালিস দরবারে মিজানের ভাই মোমেন ও আত্মীয় দেলোয়ার হাজী এসব কিছুর দায় দায়িত্ব নিয়েছে। বেলাল আরো জানান, তারা জানতে পেরেছে মিজান বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দিয়ে একই কায়দায় শিবগঞ্জে জাঞ্জালপাড়ার ইদ্রিস আলী, হুদাবালা গ্রামের বিরাজ মেম্বার ও ভাইয়ের পুকুরের রতন আলীর কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে ওই পরিবারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছেলের চাকরির জন্য ফসলী জমি ও গরু বাছুর বেচে তারা টাকা দিয়েছে মিজানের হাতে। এখন তারা সর্বশান্ত পথে বসা ছাড়া তাদের কোন উপায় নেই। বিষয়টি জানতে মিজানের কয়েকটি মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ ও পাঁচবিবি থানায় অভিযোগ করা হলে মিজান পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে উধাও। এবিএন/খালিদ হাসান/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ