কটিয়াদীতে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৫৯
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাজারে ধানের দামও ভালো রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় আগাম জাতের আমন ধান চাষ করে চাষীরা সাফাল্য অর্জন করেছে। এতে করে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। পাশাপাশি এই ধান চাষে অন্য কৃষকদের মাঝেও আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। যার মধ্যে আগাম জাতের আমন চাষ হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। এ ধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭২, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮৭, বিনা-৭ ও ১৬ জাতের ধান। এ বছর উপজেলায় আগাম জাতের পাশাপাশি স্থানীয় জাতের আমন ধানের ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। ফলে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের গাংকুল পাড়া প্রদর্শনী মাঠে ব্রিধান-৭১ জাতের রোপা আমন কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুকশেদুল হক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ পাঠানসহ স্থানীয় কৃষকরা।
এ সময় কৃষক মো: সামছুল আলম (মহরম) জানান, এ বছর ৫০ শতাংশ জমিতে ব্রিধান-৭১ জাতের আমন ধানের চাষ করেছেন। এ ধানের রোগবালাই খুব কম। ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলনের খবরে প্রতিদিনই আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা দেখতে আসছেন নতুন জাতের ধান। তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে আমন ধান কাটি। এবার মাস দেড়েক আগে এ ধান পেঁকেছে ও কাটছি এটাও বড় ব্যাপার।
আগামীতে এই ধান চাষে আগ্রহী উপজেলার ভাঞ্জনিয়া গ্রামের কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, এমন সুন্দর চিকন ধান দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। আমি আগামী বছর ১ একর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ পাঠান বলেন, সার্বক্ষণিক কৃষকের জমিতে গিয়ে নিয়ম মেনে চাষাবাদ এবং পরিচর্যার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি। আগাম জাতের আমন চাষে এই অঞ্চলের কৃষকেরা এখন ব্যাপক উৎসাহিত হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মুকশেদুল হক বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে উপজেলায় আমনের নতুন জাতগুলোর ৪০টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। আগাম জাতের আমন ধান কর্তন করে কৃষক সেই জমিতে বোরো চাষের আগে আলু, সরিষাসহ রবিশস্য চাষ করতে পারবেন। এটা হবে বোনাস ফসল। এতে কৃষকের উৎপাদন ও আয় দুটোই বাড়বে।
এবিএন/ধ্রুব রঞ্জন দাস/জসিম/তোহা
আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের গাংকুল পাড়া প্রদর্শনী মাঠে ব্রিধান-৭১ জাতের রোপা আমন কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুকশেদুল হক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ পাঠানসহ স্থানীয় কৃষকরা।
এ সময় কৃষক মো: সামছুল আলম (মহরম) জানান, এ বছর ৫০ শতাংশ জমিতে ব্রিধান-৭১ জাতের আমন ধানের চাষ করেছেন। এ ধানের রোগবালাই খুব কম। ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলনের খবরে প্রতিদিনই আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা দেখতে আসছেন নতুন জাতের ধান। তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে আমন ধান কাটি। এবার মাস দেড়েক আগে এ ধান পেঁকেছে ও কাটছি এটাও বড় ব্যাপার।
আগামীতে এই ধান চাষে আগ্রহী উপজেলার ভাঞ্জনিয়া গ্রামের কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, এমন সুন্দর চিকন ধান দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। আমি আগামী বছর ১ একর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ পাঠান বলেন, সার্বক্ষণিক কৃষকের জমিতে গিয়ে নিয়ম মেনে চাষাবাদ এবং পরিচর্যার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি। আগাম জাতের আমন চাষে এই অঞ্চলের কৃষকেরা এখন ব্যাপক উৎসাহিত হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মুকশেদুল হক বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে উপজেলায় আমনের নতুন জাতগুলোর ৪০টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। আগাম জাতের আমন ধান কর্তন করে কৃষক সেই জমিতে বোরো চাষের আগে আলু, সরিষাসহ রবিশস্য চাষ করতে পারবেন। এটা হবে বোনাস ফসল। এতে কৃষকের উৎপাদন ও আয় দুটোই বাড়বে।
এই বিভাগের আরো সংবাদ