আজকের শিরোনাম :

শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন বরিশাল এলজিইডি’র প্রকৌশলী হাফিজুর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮:০২

বরিশাল এলজিইডি’র সততার মডেল হিসেবে পরিচিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান পেয়েছেন জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তার সততা-দক্ষতা ও কর্তব্য পরায়নতা দেখে তাকে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করেছে এলজিইডি সদরদপ্তর। এ যেন অন্ধকার সুরঙ্গ থেকে জ্বলে উঠা এক নতুন আলোকবর্তিকা।

বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, খুবই লাজুক এবং ঠান্ডা স্বভাবের এই মানুষটি পুরো বাংলাদেশে তার দপ্তরের হাজার হাজার উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের মধ্য থেকে সততার প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে এতো বড় একটি পুরস্কারের অর্জন করলেও রয়েছেন প্রচার বিমূখ। তার অফিসের সুন্দর কর্মপরিবেশ এবং সহকর্মিদের সহযোগিতায় শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করতে পেরেছেন বলে এ প্রতিবেদকের কাছে মত প্রকাশ করেছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান। তাই তিনি এই অর্জিত পুরস্কারটি উৎসর্গ করেছেন এলজিইডি পরিবারকে।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বন্ধে আইনের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সৎ ও দক্ষদের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার চালু করেছে সরকার। জাতীয় শুদ্ধাচার নীতিমালা অনুযায়ী এবারকার এই প্রথম শুদ্ধাচার পুরস্কারের যাত্রা শুরু করে এলজিইডি সদরদপ্তর। পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা,সততার নিদর্শন,কর্তব্যনিষ্ঠা,শৃঙ্খলা,সেবা গ্রহীতা ও সহকর্মীদের সাথে মাধুর্য্য ব্যবহার,প্রতিষ্ঠানের বিধি বিধান মেনে সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা,তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা,পেশাগত পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, অফিস ছুটির প্রবনতা থেকে দুরে থাকা,কর্ম সম্পাদনে তৎপরতা,সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার,স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ,উপস্থাপনে দক্ষতা,ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ,অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর মন্ত্রনালয়সহ রাষ্ট্র কর্তৃক নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথ নিয়মে দায়িত্ব পালন করায় স্বীকৃতিস্বরূপ প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান এই পুরস্কারে ভূষিত হন।

এলজিইডির সদর দপ্তর মিলনায়তনে সকল অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক,নির্বাহি প্রকৌশলী, উপ-পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে ২০২০-২১ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা স্মারক ও চেক তুলে দেন।

পুরস্কার পেয়ে ভালোলাগার কথা বলতে যেয়ে উপ-সহকারি প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান (সজল) জানান, শুদ্ধাচার পুরস্কার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অনুশাসন ব্যবস্থা। সরকারের উদ্দেশ্য একটা আমরা সবাই ভলো হয়ে যাই। তাই ভালো কাজের জন্য পুরস্কার এবং মন্দ কাজের জন্য তিরস্কার ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রীও এই স্লোগান বিভিন্ন মিটিংএ আমাদের দিচ্ছেন। তাই অর্জিত শুদ্ধাচার পুরস্কারটি আমার একার নয়, এলজিইডি পরিবারের সবার। কারন পেশাগত দায়িত্ব পালন করত অফিসের সহকর্মিদের সহযোগিতায় ভালো কর্ম পরিবেশ পেয়েছি। এজন্য আমার পুরস্কার এলজিইডি পরিবারকে উৎসর্গ করেছি।

বরিশাল এলজিইডির নির্বাহি প্রকৌশলী শরীফ মো: জামাল উদ্দিন তার অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান সজলের শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জনটি নিয়ে গর্ববোধ করে বলেন, সেবা গ্রহিতা যা চাচ্ছেন তা পাচ্ছে কিনা সেটা বিবেচনায় রেখেই সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি সহকর্মিদের সাবলীল ভাবে কাজ করতে সুযোগ করে দিচ্ছি। তাদের এই কর্তব্যনিষ্ঠা গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নে নির্মাণকাজের গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান।
 

এবিএন/আরিফ হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ