আজকের শিরোনাম :

পার্বতীপুরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১৭

পার্বতীপুরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলামের (৩৫)সদ্য বিবাহিত স্ত্রী মোছা. সাবরিনা শারমিন স্বর্না (২১)  তার স্বামীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর  মামলা দায়ের করেছেন।

 গতকাল ০২রা অক্টোবর দিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এর কপি দিয়েছেন পার্বতীপুরের ইউএনও ও মডেল থানায়।

সার্বিক পরিস্থিতি বর্ণনা করে আজ বুধবার দুপুরে স্বর্না পার্বতীপুর প্রেসক্লাবে এসে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।তিনি  ন্যয় বিচারের প্রত্যাশায় বিবেকি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন । এ সময় তার পিতা শহীদুল ইসলামসহ অনান্য নিকট আত্বীয় উপস্থিত ছিলেন ।

প্রেসক্লাবে উপস্থিত সাংবাদিকদের স্বর্না জানান, আমি  একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার । বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার মনারকুটি গ্রামে। তাজুলের বাড়ী একই এলাকায় । পিতার নাম আ. রাজ্জাক। উভয় পরিবারের সম্মতি ,ধর্মীয় বিধান ও রেজিষ্ট্রী কাবিনমূলে গত  ২৩ আগস্ট  তার সাথে  আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই । বিয়ের পরদিন থেকে  তাজুল আমার উপর  চরম নির্যাতন শুরু করে । বাধ্য হয়ে গত  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানায় মামলা দায়ের করি ।

 তাজুলের লাম্পট্য স্বভাবের বর্ননা দিয়ে স্বর্না জানান, আমি এক কুমারী মেয়ে,  দুশ্চরিত্র তাজুলের প্রতারনার শিকার।  ইতিপূর্বে  বিধবা ভাবীকে আমার মতই বিয়ে করে প্রত্যাখান করেছে সে । ময়মনসিংয়ের হালুয়া ঘাটে একজন্  খৃষ্ট্রান মেয়ের সাথে এখনও পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছে ।

  এ পরিস্থিতিতে  স্বর্না তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। ঘটনার পর থেকে  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  তাজুল ইসলাম কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

 মোবাইল  ফোনে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাবরিনা শারমিনকে গত ২৫ আগস্ট ডিভোর্স দিয়েছেন । তবে বলেছেন আদালত আদেশ করলে দেন মোহরের পুরো দশ লাখ টাকা তিনি পরিশোধ করবেন। যোগাযোগ করলে পার্বতীপুরের ইউএনও রেহানুল হক হক বিষয়টি অবগত রয়েছেন বলে জানান ।


এবিএস/এম এ জলিল সরকার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ