খানসামায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৩৯
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার টংগুয়া হাসনাবাগ দ্বি-মুখী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুর রহমান জিএম এর বিরুদ্ধে উপবৃত্তি দেওয়ার নামে উৎকোচ হিসেবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর টংগুয়া হাসনাবাগ দ্বি-মুখী ফাজিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ১২ জন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপবৃত্তি টাকা প্রদানের বিনিময়ে প্রত্যেকের কাছে ৫০০ টাকা গ্রহন করেন। তারা অভিযোগে বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার উল্লেখ করে বলেন বর্তমান সরকার প্রধান শিক্ষানুরাগী হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া গতিশীল রাখার জন্য উপবৃত্তি প্রথা চালু করেন। তাই তারা সেই টাকা ফেরত সহ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন।
মঙ্গলবার সরেজমিনে মাদ্রাসা গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে অধ্যক্ষ্যের ভয়ে অনেক শিক্ষার্থী কথা বলতে রাজি নয়।
এক পর্যায়ে অভিযোগকারী ছাত্র আল ইমরানের সাথে কথা হলে মাদ্রাসার অফিস সহকারী আবু সুফিয়ান অধ্যক্ষের কথা বলে তাঁর কাছে থেকে ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
রাজিয়া সুলতানা নামে একজন বলেন, যারা গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থী প্রতিদিন মাদ্রাসায় আসেন তাদেরকে উপবৃত্তি প্রদান না করে যারা আসেন না তাদেরকে টাকার বিনিময়ে উপবৃত্তি প্রদান করেন। বৈশাখী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাবা নেই। ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে আমাকে পড়াশোনা করান। অথচ টাকা দিতে না পারায় আমাকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে না। আল-আমিন বলেন, আমার ছবি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়েও টাকা না দেওয়ার ফলে আমাকে উপবৃত্তি না দিয়ে বন্ধু আল ইমরানের কাছে ৫০০ টাকা নিয়ে তাকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মােঃ মাহবুবুর রহমান জিএমের সাথে কথা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এটি তদন্ত করে সত্যতা পেলে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিএন/এস.এম.রকি/জসিম/নির্ঝর
রাজিয়া সুলতানা নামে একজন বলেন, যারা গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থী প্রতিদিন মাদ্রাসায় আসেন তাদেরকে উপবৃত্তি প্রদান না করে যারা আসেন না তাদেরকে টাকার বিনিময়ে উপবৃত্তি প্রদান করেন। বৈশাখী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাবা নেই। ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে আমাকে পড়াশোনা করান। অথচ টাকা দিতে না পারায় আমাকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে না। আল-আমিন বলেন, আমার ছবি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়েও টাকা না দেওয়ার ফলে আমাকে উপবৃত্তি না দিয়ে বন্ধু আল ইমরানের কাছে ৫০০ টাকা নিয়ে তাকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মােঃ মাহবুবুর রহমান জিএমের সাথে কথা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এটি তদন্ত করে সত্যতা পেলে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিএন/এস.এম.রকি/জসিম/নির্ঝর
এই বিভাগের আরো সংবাদ