আজকের শিরোনাম :

বাগমারায় কৃষিতে বর্তমান সরকারের আমলে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গৃহিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৮, ২১:০৩

বর্তমান সরকারের ১০ বছরে বাগমারায় কৃষি খাতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের মাঝে সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বোরো মৌসুমে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পূর্বের মতো বাগমারায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের জন্য কৃষকদের ফসল হানি হয়নি আর। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার জন্য কৃষকরা ক্ষেতে পানি সেচ দিতে পারতেন না। পানির অভাবে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হতো।

এ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এসময়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) মাধ্যমে বাগমারায় ৪৩৫টি গভীর নলকূপ স্থাপন এবং ২২ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে।

এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য আরো ৪৯ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এ সরকারের আমলে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য উপজেলায় ৯০ হাজার ৮৮৩ জন কৃষককে ৬ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার পাঁচ শত টাকার কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে বোরো উৎপাদনের জন্য ৩৮৪৫৮ জনকে ৩ কোটি ৮ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকা ডিজেলে ভর্তুকি  এবং ৫৭০০ জনকে ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাট উৎপাদনের জন্য ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সঠিকভাবে ফসল উৎপাদনের জন্য ৫০ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে। সেই সাথে বিনামূল্যে ৩০ হাজার ৮ শত ৮৬ জন কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে উপজেলার ১ লাখ ২১ হাজার ৯২২ জন কৃষক মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলে লেনদেন করতে পারছেন।

বর্তমান সরকারের সময়ে আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এতে করে কৃষিতে ঘটেছে বিরাট সাফল্য।

বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে কোন প্রণোদনা পাইনি কৃষকরা। সঠিকভাবে সার, কীটনাশক এবং বীজ পাওয়ায় বিগত সরকারের আমলের চেয়ে অধিক ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। এখন সারের পিছনে আর কৃষকদের ছুটতে হয়না, বরং ডিলারের মাধ্যমে সার ছুটে এখন কৃষকদের কাছে। আর স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিয়োমিত সার ডিলার এবং কৃষি বিভাগে মনিটরিং ফলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর সভার কৃষিকে কৃষকদের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে চালু করা হয়েছে নানা পরামর্শ ও সেবা প্রদান কেন্দ্র। এতে কাজ করে চলেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারসহ ৪৯ জন উপ-সহকারী কর্মকর্তা।

কৃষকরা যেন অতি সহজে তাদের সমস্যা অনুযায়ী সঠিক সেবা পায় সেজন্য বিভিন্ন মোবাইল এ্যাপস্ এর ব্যবহার চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারছেন কৃষকরা। যেমন কৃষি বাতায়ন, কৃষকের জানালা প্রভৃতি। বর্তমানে ১৬১২৩ নম্বরে ফোন করেও সেবা নিতে পারছেন কৃষকরা।

বিশেষ করে বাগমারায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে উপজেলা জুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে সব্জির চাষ। কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে এখন অনেকটাই পরিচিতি লাভ করেছে বাগমারা। এখানে প্রায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন প্রকার শাক সব্জি উৎপাদন করে থাকেন কৃষকরা। কৃষকের উৎপাদিত শাক সবজি এখন জমি থেকেই পাইকারী বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে। আবার অনেকেই তাদের শাক সব্জি রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রয় করতে পারছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান বলেন, বাগমারা কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানকার  প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষকদের সঠিক ভাবে ফসল উৎপাদন করতে সাংসদ এনামুল হকের প্রচেষ্টায় সরকারী ভাবে বিভিন্ন বরাদ্দ নিয়ে তা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকার কৃষি এবং কৃষকের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য উদবৃত্ত ফসল সংরক্ষণের জন্যও বর্তমান সরকারের আমলে নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হয়েছে।

এবিএস/জিল্লুর রহমান/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ