বাগেরহাটে আ.লীগ ও যুবলীগের ২ নেতাকে গুলি করে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৪৩
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে বোরকা পরিয়ে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
সোমবার বিকেলে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্রাঙ্গণে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী দিহিদার (৫৩) ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য শেখ শুকুর আলী (৪৫)।
হামলার সময় ইউনিয়ন তাঁতী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বাবুল শেখকে (২৫) কুপিয়ে জখম করা হয়।
দৈবজ্ঞহাটি ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম ফকির ও তার লোকজন এ হামলা চালান বলে অভিযোগ করেছেন আহত বাবুল শেখ ও নিহতদের স্বজনরা। পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফকির, ইউনিয়নের দফাদার ও চৌকিদারসহ তিনজনকে আটক করেছে।
আহত বাবুল শেখ বাগেরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিকেলে দৈবজ্ঞহাটী বাজারে গেছি। বাজারে যাওয়ার পরে হঠাৎ চেয়ারম্যান শহীদুলের লোকজন পিস্তল ঠেকিয়ে নিয়ে গেছে। যাওয়ার পরে আমাকে বলছে, যা যা বলব তা তা করবি। এর পর বোরকা-টোরকা পরাইছে। বলছে নইলে তোরে মাইরা ফালাব। তোর মারেও মাইরা ফালাব।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকেলে দৈবজ্ঞহাটি বাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আনসার আলী, ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি শেখ শুকুর আলী ও বাবুলকে ধরে ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফকিরের টর্চার সেলে নিয়ে যান তাঁর লোকজন। এর পর তাদের বোরকা পরিয়ে টর্চার সেল থেকে বাইরে এনে শহীদুল ও তার লোকজন বলতে থাকেন, ‘এরা চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালাতে এসেছে, এদের ধরে মার।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন তিনজনকে গুলি করে, কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। মারতে মারতে তাদের বোরকা খুলে ফেলে। আধা ঘণ্টা নির্যাতনের পর খবর পেয়ে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল হক জানান, এলাকায় আধিপত্যের ঘটনার জের হিসেবে দৈবজ্ঞহাটিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফকির, ইউনিয়নের দফাদার ও চৌকিদারকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ