আজকের শিরোনাম :

শ্যামনগরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পিরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:২৬

হিন্দু সম্প্রদায়ের বারো মাসে তেরো পার্বণ এ কথাই প্রচলিত আমাদের সমাজে। মাঠে ঘাটে কাশফুল। শরতের নীল আকাশ। স্নিগ্ধ সকাল। পাড়ায়, গ্রামে ও মহল্লায় পূজার প্যান্ডেল। নতুন পোশাক। আত্মার আত্মিয়দের নিমন্ত্রণ। আত্মিয় বন্ধুর বাড়ি এবং মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা দর্শনের মজাই আলাদা। এইতো আর মাত্র কয়েক দিন। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজা।

এ উপলক্ষে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা। গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমা শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হচ্ছে এক একটি প্রতিমা। অতি ভালোবাসায় তৈরি করা হচ্ছে দূর্গা, স্বরস্বতী, কার্তিক, লক্ষী, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি। ইতোমধ্যে প্রায় প্রতিটি মন্ডপে দেবীর মূর্তি নির্মাণের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কথা হয় এলাকার হরিতলার প্রতিমাশিল্পীর সাথে। তিনি শ্যামনগরের কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির করছে। তিনি বলেন, এ বছর ১৫ টি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। একটা প্রতিমা তৈরির জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে থাকি। আমরা চার জন একসঙ্গে কাজ করছি। একটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে সময় লাগে কমপক্ষে ১০ দিন। তবে একবারে একটি প্রতিমা তৈরি করা যায় না। কারণ কাদামাটি না শুকালে রঙ এর কাজ করা যায় না।

তিনি আরো বলেন, প্রতিমা তৈরিতে এটেল ও বেলে মাটি ছাড়াও বাঁশ - খড়, ধানের কুড়া, দড়ি, লোহা, পাট, কাঠ, রঙ, বিভিন্ন রঙের সিট ও শাড়ি - কাপড়ের পয়োজন হয়। বর্তমানে মূর্তি তৈরির প্রাথমিক কাজ চলছে। এরপর রঙের কাজ করা হবে। সবকাজ শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মন্ডপের প্রতিমা বসানো হবে।

আরেক প্রতিমা শিল্পী নিমাই বিশ্বাস বলেন, সারা বছর এই সময়টির জন্য অপেক্ষায় থাকি। বছরের অন্য সময় তেমন কাজ হয় না। এই সময় ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়লেও সে অনুপাতে প্রতিমা তৈরির মজুরি আনুপাতিক হারে বাড়েনি। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আড়পাঙাশিয়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্গাদেবীকে বরণ করে নিতে আমাদের মন্ডপে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ চলছে। গত বারের চেয়ে এ বছর প্রতিমা তৈরির খরচ বেশি হচ্ছে। কথা হয় বড়কুপট পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন বৈদ্যর সাথে। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও উৎসবটি জাকজমকভাবে উদযাপন করা হবে। তিনি আরো বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে উৎসবের পরিধি ছোট করতে হবে।

এবিএন/আলমগীর সিদ্দিকী/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ