আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধের ৭০ মিটার সিসি ব্লক নদী গর্ভে বিলিন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:০৮

পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের ৭০ মিটার অংশ সিসি ব্লক নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এ ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করলেও বৃহস্পতিবারও নদী তীরের শহর রক্ষা বাঁধ ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর সদরের ডিক্রিীর চর ইউনিয়নের শহরতলীর আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ও কাইমদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গীর সিএনবি ঘাট নৌবন্দর এলাকায়।  

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার ¯্রােত এসে শহরের মূল ভুখন্ডে ১২ বছর আগে নির্মিত শহর রক্ষা বাধে এসে আঘাত খাচ্ছে। এ আঘাতের ফলে পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এলাকাবাসী জানায়, গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রথম এ ভাঙ্গন দেখা দেয়। ওই এলাকার বাসিন্দা শামসু বেপারী (৫৬) বলেন, প্রথম ভাঙ্গন দেখা দেয় ওবায়দুলের মুদী দোকানের সামনে থেকে। নদীর ভিতর অন্তত ৩০ মিটার পর্যন্ত যে বোল্ডার পাতা ছিল সেগুলি আগে ধসে পড়ে। ওই সময় পানিতে ফেনা দেখা যায়। এক কিছুক্ষণ পর থেকেই পাড়ের বোল্ডারগুলি খসে পড়তে শুরু করে।

ওই এরাকার বালু ব্যবসায়ী মিঠুন মোল্লা (২০) বলেন, আমার নদীর বালু বিক্রি করে সংসার চালাই। যে ভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে এ ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ঘাট (সিএন্ডবি ঘাট নৌবন্দর) না থাকলে কিভাবে বাঁচবো।

ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসন বলেন, সোমবার রাতে ভাঙ্গন শুরু হলেই জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা রাতেই সরেজমিনে পরিদর্শন করে মঙ্গলবার সকাল থেকে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো শুরু করেছে। তিনি বলেন, এ ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে ফরিদপুর শহর হুমকির মুখে পড়বে।

ফরিদপুর পনি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, সোমবার যে জায়গায় ভাঙ্গন হয়েছিল সেখানে গত বুধবার পর্যন্ত দুই হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানো গেছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই ভাঙ্গনের স্থানের পাশে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এ ভাঙ্গন রোধে যা যা করার প্রয়োজন তা করা হবে।
 

  এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ