আজকের শিরোনাম :

গোপালগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তাদের জিংক ব্রি ধান-৭৪, ৮৪ এর উপর প্রশিক্ষণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:০৩ | আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:১৮

গেইন ও হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) কর্তৃক আয়োজিত কমার্শিয়ালাইজেশন অব বায়োফর্টিফাইড ক্রপস (সিবিসি) প্রকল্পের আয়োজনে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সকল কৃষি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে "ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অব সাও" শীর্ষক কৃষি কর্মকর্তাদের জিংক ধান (ব্রি ধান৭৪ ও ব্রি ধান৮৪) এর উপর প্রশিক্ষন।

সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর গোপালগঞ্জ জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. অরবিন্দ কুমার রায় এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার শেখ।

অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হারভেষ্টপ্লাসের বিভাগীয় সমন্বয়কারী কৃষিবিদ জাহিদ হোসাইন ও এসডিসির উক্ত প্রকল্পের সমন্বয়ক বিপ্লব মহলদার। জিংক সমৃদ্ধ চাউলের ভাত গ্রহণ করার মাধ্যমে মানুষের শরীরের দৈনিক জিংকের চাহিদা পূরণ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই হলো এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

আর তাই জিংক সমৃদ্ধ ধান (ব্রি ধান৭৪ ও ব্রি ধান৮৪) এর চাষাবাদ বৃদ্ধি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একান্ত সহযোগিতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, জিংক চাউলের ভাত নিয়মিত গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে, ক্ষুধামন্দা দূর হয়, বয়ষ্কদের কর্মক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো দৈনন্দিন স্বাভাবিক খাবারের মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনিক জিংকের চাহিদার সর্বোচ্চ ৫০% পূরণ করতে পারি। তাই প্রতিদিন আমাদের শরীরে জিংকের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে; যার ফলস্বরূপ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং আমরা অতি সহজে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। জিংক সমৃদ্ধ চাউলের ভাত গ্রহণের মাধ্যমে দৈনিক জিংকের চাহিদার ৭০% পূরণ করা সম্ভব।

এবিএন/কে এম রুবেল/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ