আজকের শিরোনাম :

কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৫১

কক্সবাজারে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। 

আজ রবিবার ভোরে মহেশখালীর ছোট মহেশখালী শাপলাঢেবা ও টেকনাফের হ্নীলা দরগাহ গেট এলাকায় এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

মহেশাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. করিম ওরফে মাত করিম নিহত হয়েছেন। 

রবিবার ভোর ৫টার দিকে ইউনিয়ের শাপলা ঢেবাএলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. করিম শাপলাঢেবা এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

ওসি জানান, এলাকায় চিহ্নিত অপরাধীদের অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এক সময় সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. করিমের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে টেকনাফের হ্নীলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ইমরান ওরফে ‘পুতিয়া মিস্ত্রি’ নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে হ্নীলা দরগাহ গেট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় এক এসআইসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৭ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।

নিহত ইমরান ওরফে পুতিয়া মিস্ত্রি টেকনাফের হ্নীলার পশ্চিম সিকদারপাড়ার আজিজুল হক মিস্ত্রির ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বড়ুয়া জানান, তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ‘পুতিয়া মিস্ত্রি’ ইয়াবার বড় একটি চালান হস্তান্তর করছে- এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। পরে ঘটাস্থলে একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহত মরদেহটি শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী পুতিয়া মিস্ত্রির বলে শনাক্ত করে স্থানীয়রা। 

ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল, তাজা কার্তুজ ও ৭ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়।

এ ছাড়া গোলাগুলিতে টেকনাফ থানার এসআই নাজিম, এএসআই মুরাদ, দেলোয়ার ও কনস্টেবল ইমন আহত হন। তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ