আজকের শিরোনাম :

কটিয়াদীতে ৪২টি মন্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:০৯

নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, নদীতীরে সাদা কাশফুল আর সকালে শিশির ভেজা শিউলি ফুল বাংলার প্রকৃতির এই রূপই জানান দিচ্ছে বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আসন্ন। করোনার আবহে গত বছর থেকেই দুর্গাৎসবের ছন্দপতন ঘটেছে। এ বছরও করোনা সংক্রমণ রুখতে জুলাই থেকে সারাদেশে লকডাউন শুরু হলে পূজার অনুমতি মিলবে কি না, সেই নিয়ে সংশয়ে ছিলেন আয়োজকরা। লকডাউন শিথিল ও করোনার সংক্রমণ কমতেই দুর্গাপূজার আয়োজনের প্রস্তুতি ছন্দে ফিরেছে। পূজার বাকি আর মাত্র হাতে গুনা কয়েকটা দিন। ফলে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজক ও প্রতিমা শিল্পীরা। কয়েকদিন পর প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়।

জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ০৯টি ইউনিয়ন ও ০১টি পৌরসভার ৪২টি পূজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এর মধ্যে করগাঁও ইউনিয়নে ২টি, সহশ্রাম-ধূলদিয়া ইউনিয়নে ৪টি, বনগ্রাম ইউনিয়নে ৩টি, মুমুরদিয়া ইউনিয়নে ৬টি, মসূয়া ইউনিয়নে ৬টি, আচমিতা ইউনিয়নে ৫টি ও পৌরসভায় ১৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে দুর্গাপূজার শুভারম্ভ এবং ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে, প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। শিল্পীদের শৈল্পিক ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে একেকটি প্রতিমা।

পৌর সদরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন নেত্রকোনার কলমাকান্দার শিল্পী রুহীদাস পাল। তিনি জানান, প্রতি বছর জুলাই তথা বাংলা আষাঢ় মাসে প্রতিমা তৈরির বায়না হয়ে যায়। এ বছর তা হয়নি। লকডাউন শিথিল হলে আগষ্টের মাঝামাঝি ৫টি প্রতিমা তৈরির বায়না পেয়েছি। তাই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে দেরিতে। একটি প্রতিমা তৈরিতে ১৫-২০ দিন সময় লাগে। পূজার বাকি আর মাত্র ২৬ দিন। এই সময়ের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি। এখন দম ফেলার সময় নেই।


স্থানীয় প্রতিমা শিল্পী নারায়ন পাল বলেন, সারাটা বছর এই দুর্গাপূজার জন্যই অপেক্ষা করে থাকি। সংসার প্রতিপালন হয় এই দুর্গা প্রতিমা তৈরির আয় থেকে। প্রতি বছর ১২-১৫টি দুর্গাপ্রতিমা তৈরির অর্ডার পেতাম। করোনার কারণে গত বছর থেকেই সেই সংখ্যা ৭টিতে নেমে আসে। পাশাপাশি প্রতিমা নির্মাণের মজুরিও কমে গেছে। সময়ের সাথে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও সে অনুযায়ী প্রতিমা তৈরির মজুরি বাড়েনি। তারপরও পৈত্রিক পেশা টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করছেন বলে তিনি জানান।


বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কটিয়াদী উপজেলা শাখার সভাপতি দিলীপ কুমার সাহা বলেন, গত বছর এ উপজেলায় ৩৮টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এ বছর ৪২টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। করোনার কারণে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করতে হবে। আসন্ন দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে আয়োজন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি।


এবিএন/ধ্রুব রঞ্জন দাস/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ