আজকের শিরোনাম :

হোসেনপুরে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা পান চাষিরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৪৯

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা পান চাষিরা। লতাপাতা জাতীয় উদ্ভিদ পান। স্থানীয় ভাবে পানকে টাকার গাছ বলা হয়ে থাকে।

মহামারী করোনার প্রভাবে বর্তমানে পান বিক্রয় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ করা হয়েছে।

উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর, রামেশ্বপুর, সুরাটি, হারেঞ্জা, উত্তর মাধখলা এবং ভরুয়া গ্রামে পানের বরজ চোখে পড়ার মত। এসব বরজে লাল ডিংগী ও গয়েশ্বর জাতীয় পান উৎপাদন হয়।

এসব অঞ্চলের চাষিরা বর্তমানে পান বিক্রি করতে না পারায় হতাশায় দিন কাটছে। পান অর্থকরী ফসল হলেও ক্রেতা ও রপ্তানীর অভাবে চাষিরা লাভবান হতে পারছেনা। আগের বাজারে ১ বিড়া (১৬০টি) পানের মূল্য ছিল ২২০ টাকা দর। বর্তমানে তা কমে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় বাজারে নি¤œমুখী দরপতন হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষিরা। প্রতিদিন গোবিন্দপুর চৌরাস্তা ও সুরাটি বাজারে পাইকারী পানের বাজার বসে থাকে।

দূর দুরান্ত থেকে  শত শত পাইকার এসব বাজার থেকে পান কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে।

গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম রতন জানান, উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামে ৬০ ভাগ চাষি পান উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ভরুয়া গ্রামের পান চাষি মো. খায়রুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পানের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও শ্রমিক সংকটের কারণে  পান চাষ নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, বৃষ্টির মৌসুমে পান গাছ সতেজ ও উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় পানের বাজার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে কিছু দিনের মধ্যে পানের বাজার ভালো হয়ে যাবে।

এবিএন/খায়রুল ইসলাম/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ