আজকের শিরোনাম :

বর্তমান সময়ে চ্যালেঞ্জের মুখে প্রিন্ট মিডিয়া : অনমিত্র

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:০৫

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার সহকারি সম্পাদক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে প্রিন্ট মিডিয়া।  সেটা চট্টগ্রাম,ঢাকা কিংবা কলকাতা, উপমহাদেশের সবখানেই এখন এ গণমাধ্যমটিকে  চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই টিকে থাকতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম এমন একটা দ্রুত পরিবর্তনশীল বিষয় যে প্রতিমুহুত্বে তার সাথে তাল কাটতে সংবাদকর্মীদের  পরিবর্তণ হতে হয়।

একটা সময় ছিলো এ মুহুত্বে যা ঘটলো, তা জানতে পরের দিন সংবাদপত্রের জন্য অপেক্ষা করতে হতো পাঠকদের। পয়সা দিয়ে খবরের কাগজ কিনতে হতো। কিন্তু এখন সংবাদ পত্রের গণমাধ্যমটা বদলে গেল।

ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যম অনলাইন নিউজ পোর্টালের কল্যাণে ঘটনার মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই পাঠক তা জেনে যাচ্ছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বুক পকেটে থাকা মোবাইলে চলে আসছে সকল খবরাখবরের নোটিফিকেশন আর সময় সুযোগ মতো একটা মাত্র ক্লিকে পাঠক পড়ে নিচ্ছে ঘটনার বিস্তারিত।

এর পরও পরের দিন খবরটি যেন পাঠক পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে সেরকম একটি তথ্যবহুল গল্প প্রকাশ করাই এখন গণমাধ্যমকর্মীর চ্যালেঞ্জ।

নতুন উদ্ভাবিত ডিজিটাল মিডিয়ার সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অন্যান্য মিডিয়া এগিয়ে চলেছে। অনেক নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে সাংবাদিকদেরও এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রযুক্তির সাথে সাংবাদিকদের তাল মিলিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবেদন উদ্ভাবন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সম্মেলন কক্ষে দুই বাংলার সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমকর্মীর করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা উপস্থাপন করেন ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার সহকারি সম্পাদক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একজন গণমাধ্যম কর্মীর সবচেয়ে বড় গুন হবে, সংবাদ মাধ্যম হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখা। তিনি বলেন,  একটা চোরেরও আত্মপক্ষ সমর্তনের সুযোগ যেমন আদালতে আছে ঠিক তেমনি যার বিরুদ্ধে দুর্ণিতী কিংবা অভিযোগের সংবাদ তৈরি হবে তার বক্তব্যটাও সে সংবাদে যুক্ত করা গণমাধ্যমকর্মীর অন্যতম লক্ষ্য হতে হবে। তবে বার বার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হলে বা সে যদি রিপোর্টারকে অবহেলা করে সেক্ষেত্রে তার বক্তব্য ছাড়ায় নিউজটা ছাপা হতে পারে।

প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের উদ্দ্যেশে বলেছেন, সর্বাধিক ৩০০ থেকে ৩৫০ শব্দের বেশি রিপোর্ট হলে পাঠক পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই যত কম শব্দের ব্যবহারে পুরো ঘটনা তুলে আনাটাই সংবাদকর্মীর চ্যালেঞ্জ।

চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি কাজী আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সহ সভাপতি নিরুপম দাশ গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান, জয়নিউজবিডির সম্পাদক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন।


অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের আনন্দবাজার পত্রিকার মালিকের একমাত্র ব্যবসা হচ্ছে শুধু মিডিয়া ব্যবসা। সুতরাং উনার সরকার বিরোধী কোন সংবাদ লিখলে কোন অসুবিধে হয়না। কিন্তু আমরা বাংলাদেশে দেখেছি কোন একটা দল বা গোষ্ঠী মিডিয়ার সাথে জড়িত হয়ে গেছে। তবে উচিত হচ্ছে মিডিয়া সবসময় তার অবস্থানে থাকা।


তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কিছু অনলাইন মিডিয়াতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে যার কারণে শাসক দল সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সংবাদ মাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে হবে।

এসময় চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সকল সদস্য এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ