ডিমলায় হয়রানী করতে মিথ্যা মামলা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:০২
ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শোভানগঞ্জ গ্রামে মাহবুব আলমের মেয়ে ইসরাত জাহান শাপলাকে তার ভাই ও ভগ্নিপতি মোজাম্মেল হকের বাড়ীতে ভোর ৫ টায় জোড় করে ঢুকিয়ে দিয়ে আসে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় মোজাম্মেলের পুত্র রবিউল ইসলাম মিলনের সাথে শাপলার সম্পর্ক ছিল।
এই সুযোগে মেয়ে পিতা ও বড় আব্বা আবুল কালাম আজাদ এবং গ্রামের গণ্যমান্য লোক জনদের নিয়ে একটি শালিস বৈঠক করেন। উক্ত শালিসে মেয়ে পক্ষ ৪ বিঘা জমি ছেলের পরিবারের নিকট দাবী করেন। তবে শালিস বৈঠকে গণ্যমান্য ও এলাকাবাসী মেয়ে নামে এক বিঘা লিখি দিয়ে শাপলা ও মিলনের সাথে বিয়ে দেওয়া হবে মর্মে সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা ছেলে পক্ষকে খরচ বাবদ অগ্রিম ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।
অপর দিকে পরের দিন মেয়ের পিতা মাহবুব নিজের নামে জমি লিখে চান। এ প্রস্তাবে ছেলে পক্ষ রাজি না হলে মেয়ের পিতা গোপনে নীলফামারী গিয়ে তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদকে বাদী করে নীলফামারী জেলা আদালতে নাশিনী ভূয়া মামলা দায়ের করেন ৪ জনকে আসামী করে। যাহার মিস পিটিশন মামলা নং- ১০৪/১৮ ডিমলা।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ কর্মী শাপলার সাথে কথা বলে জানতে পারে তার পিতা মাতা মিলনের সাঙ্গে আমার সম্পর্কের কথা শুনে তার উপর নির্যাতন করে ও আমাকে জোড় পূর্বক আমার দুলাভাই ছগির আলী ও বড় আব্বাত ভাই মামুন মটর সাইকেলে তুলে মিলনের বাড়ীর উঠানে নামিয়ে চলে যায়।
ঘটনার ২ দিন পরে এলাকাবাসী ও ময়মুরুব্বিরা ইসলামিক সরিয়ত মোতাবেক আমাকে মিলনের সাথে বিয়ে মোহর করে দেন ও কোর্ট এফিডেভিট করেন। আমার অজান্তে আমার পিতা আমাকে ১নং স্বাক্ষী করে এ বিষয়ে একটি ভূয়া মাললা দায়ের করেন। মামলার বিষয়ে আমি কোন কিছু জানিনা বলে শাপলা জানান।
এবিএন/বাদশা সেকেন্দার ভুট্টু/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ