আলফাডাঙ্গায় নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৩৫
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ তিন শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে জেলা পুলিশ।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান শনিবার বেলা ১১টার দিকে পোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া চর আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমবেত ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে এসব ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।
এ সময় আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালি সার্কেল) সুমন কর, আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াহিদুজ্জামান, গোপালপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরী বেগম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদউদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হেমায়েত হোসেন তালুকদার সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙ্গনে যারা শিকার হন তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যান। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টকর। বিষয়টি বিবেচনা করে ফরিদপুরের পুলিশ বিভাগ তাদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী ভাঙ্গন একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নদী পথ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করা যায় নদী ভাঙ্গনরোধ সম্পূর্ণরুপে রোধ করা সম্ভব হবে।
এ সময় পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান সরেজমিনে ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পাউবোর অস্থায়ী ভিত্তিতে ভাঙ্গনরোধে গৃহিত কাজের মান তদারকি করেন।
পাউবোর নির্বাহী প্রকোশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে গত এক মাস আগে থেকে মধুমতি নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়। পনের দিন আগে থেকে বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গনরোধে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ চলছে।
গত পাঁচ বছর যাবত আলফাডাঙ্গার এই মধুমতি নদীতে ফি বছরেই নদী তীরে ভাঙ্গন হয়। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, স্থায়ীবাঁধ নির্মাণ করে ভাঙ্গনরোধের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। এবিএন/কে এম রুবেল/গালিব/জসিম
গত পাঁচ বছর যাবত আলফাডাঙ্গার এই মধুমতি নদীতে ফি বছরেই নদী তীরে ভাঙ্গন হয়। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, স্থায়ীবাঁধ নির্মাণ করে ভাঙ্গনরোধের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। এবিএন/কে এম রুবেল/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ