আজকের শিরোনাম :

চার দিনেও উদ্ধার হয়নি সেই দিনমজুর, পরিবারকে অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:২৮

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে প্রকাশ্যে অপহৃত দিনমজুর মোঃ হানিফকে (৩৫) চার দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে থানায় ও পরে র‌্যাব অফিসে দেওয়া অভিযোগ তুলে নিতে ওই দিনমজুরের পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


গত রোববার (২৯ আগস্ট) সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্ব পাড়া আলামীন নগর এলাকার আরিফের চায়ের দোকান থেকে ওই দিনমজুরকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। এরপর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে সে।

থানায় ও র‌্যাব অফিসে করা অভিযোগ ও ওই দিনমজুরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইমোতে প্রথমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দিয়ে দিনমজুর হানিফকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার বাসিন্দা মতলব দেওয়ানের ছেলে রিপন (৩৫)। এরপর গত রোববার ওই দিনমজুরের গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রী রাতে বাড়িতে ফিরে জানতে পারেন তার স্বামীকে হুমকি দেওয়া রিপন ও মিজমিজি পূর্ব পাড়া আল আমীন নগর এলাকার সাদুর ছেলে ইমরানও তাদের আরো কয়েকজন সহযোগী মিলে ওই এলাকার আরিফের চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ওই দিনমজুরের বাসায় গিয়ে অভিযুক্ত রিপন ও ইমরানসহ কয়েকজন ৫০০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিলে ওই দিনমজুরকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং না দিলে ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।

নিখোঁজ ওই দিনমজুরের গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রী বলেন, আমরা গরীব মানুষ। কাজ করে খাই। আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে।  আজ কতদিন ধরে সে নিখোঁজ। আমিও স্পষ্ট অভিযুক্তদের নামে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। কিন্তু ফায়দা কি হলো। তারা (অভিযুক্তরা) আমাদের বাড়িতে এসে আমাদেরকে শাসিয়ে যায়। তারা প্রকাশ্যে ঘুরছে। আমি শুধু আমার দিনমজুর স্বামীর সন্ধান চাই।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ও দিনমজুর হানিফসহ আরো কয়েকজন মিলে মিজমিজি পূর্ব পাড়া আলামীন নগর এলাকার আরিফের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন এসময় কয়েকজন লোক এসে হানিফকে রিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। যারা নিয়ে গেছেন তাদের পরিচয় জানেন না জানিয়ে ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরো জানান, যারা হানিফকে রিক্সায় তুলে নিয়ে গেছেন তাদেরকে দেখলে চিনতে পারবেন।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মশিউর রহমান জানান, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

 

এবিএন/ইমন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ