আজকের শিরোনাম :

নিকলীতে ভাই-বোনদের পৈতৃক ভিটাতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২১, ১৫:২৬

কিশোরগঞ্জ নিকলী উপজেলার কাপাশা ইউনিয়নের নানশ্রী নামক গ্রামের মৃত আবু জাফর খান (জাফু মিয়া) এর বড় ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম খান (জিটেন মিয়া) ৫৫, গত ১০-০১-২০২১ইং তারিখে নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর তাদের দুই ভাই সাত বোনকে তাদের পৈত্রিক ভিটাতে ডুকতে দেয় না বলে একটি অভিযোগ দাখিল করেন, নানশ্রী গ্রামের মৃত সাইদুল হক খান (হারেছ মিয়া) এর ছেলেদের ( দিলদার আহম্মদ খান পলাশ, দিদার আহম্মদ খান বাবু, দাউদ আহম্মদ খান পরশ) নামে।

অভিযোগে উল্লেখিত বর্ণনায় জানা যায় যে, মৃত আবু জাফর খান (জাফু মিয়া) মৃত্যুকালে দুই ছেলে এবং সাত মেয়ে রেখে এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন। জাফু মিয়া মৃত্যু বরর্ণ করার সময় উনার ছেলে-মেয়েরা ছোট ছিল দ্বিধায় তার বড় ভাই হারেছ মিয়া তাদের সম্পদ দেখা-শোনা করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে হারেছ মিয়া সম্পদের লোভে ছোট জিটেন, যুবরাজ ও তার সাত বোনকে মেরে জোর করে বাড়ী থেকে বের করে দেন। শুধু তাই নয়, লোভের বর্শবর্তী হয়ে ১৯৮৪ সনের এস এ রেকর্ডে বাড়ীর বেশী অংশ তার নিজের নামে রেকর্ড লিপিবদ্ধ করে নেয়। যুবরাজ মিয়া দীর্ঘদিন যাবত প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে এসে তার নিজ বাড়ীতে, এসে দেখেন তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ তার চাচাত ভাইয়েরা দখল করে রেখেছেন। জিটেন এবং যুবরাজ ও তার সাত বোন মিলে নিকলী উপজেলার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি গ্রাম শালিস দরবার করেন।

শালিস দরবারের সভাপতি ছিলেন, নিকলী উপজেলার প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান নিকলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সফল সভাপতি ইসহাক ভূইয়া, বর্তমান কারপাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকি আমান খান, দামপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের ও আলী  আকবর, বাহারুল হাসান বাবুল, আহম্মদ আলী এবং এলাকার স্থানীয় মেম্বারগণ সহ শত শত লোকের উপস্থিতিতে এ দরবার শালিস হয়। এবং একটি রায় হয়। এ ব্যাপারে নিকলী উপজেলার প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান নিকলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সফল সভাপতি ইসহাক ভূইয়া বলেন সমস্ত কাগজ-পত্র( দলিল) পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, জিটেন, যুবরাজ ও তার সাত বোনেরা জিফু মিয়ার রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পদের মালিক। যাহা সুলেনামায় লিপিবদ্ধ আছে। আমরা সত্যতা পেয়ে সকলে মিলে রায় নির্ধারণ করি যে, সার্ভেয়ারে মাধ্যমে জিফু মিয়ার জায়গার সিমানা নির্ধারণের।

উপরোক্ত বিষয়ে জানতে গেলে কারপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন তাকি আমান খান বলেন, এটা আমার নিজের এলাকা, নানশ্রী আমার জন্ম ভূমি, জিটেন এবং যুবরাজের পৈত্রিক সম্পদ তার অবশ্যই পাবে এবং সম্পূর্ণ সত্য আমরা বাদী এবং বিবাদী সহ সাক্ষীগণের সহি স্বাক্ষর লয়।

এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ আহম্মদ আলী (৭৫) বলেন, আমি ছোটকাল থেকে দেখে আসছি এ বাড়ীটি আবুজাফর খান (জিফু মিয়ার) বাড়ীতে দুটি বড় ঘর ছিল, জিটেন, যুবরাজ ও তার সাত বোনেরা এ বাড়ীতেই জন্ম হয়েছে। তারা তাদের পৈত্রিক সম্পদ ফিরে পাক, এ দোয়াই করি। জিফুমিয়ার ছোট ছেলে যুবরাজ এ প্রতিবেদককে কেঁদে কেঁদে বলেন, আমরা ত্রিশ বৎসর যাবত আমার বাবার রেখে যাওয়া বশত বাড়ীতে আসতে পারি না। বিবাদী পলাশ ও তার ভাইয়েরা তাদের পালিত কিছু লোকজনের মাধ্যমে আমাদের আসতে দেয় না। সুলেনামায় আমাদের এক একর চৌদ্দ শতাংশ জায়গা লিপিবদ্ধ আছে। আমরা আইনকে সম্মান করি, আইনের মাধ্যমে নিকলী উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এবিএন/জয়দেব আচার্য/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ