আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: ধর্ষক গ্রেফতার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৪০

সুনামগঞ্জের  ধর্মপাশা  উপজেলার  মধ্যনগর  থানাধীন  সাতুর  সরকারী  প্রাথমিক  বিদ্যালয়ের  চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর প্রায় সাড়ে তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।


এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায়  অন্ত:সত্ত্বা ওই শিশুটির চাচা বাদি হয়ে উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন জগন্নাথপুর  গ্রামের সিদ্দিক আলীর পাষন্ড ছেলে ও দুই সন্তানের জনক ধর্ষক আক্কল আলীকে (৪০) আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মধ্যনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে মামলা দায়েরের পর ওইদিন দিবাগত রাত ৩ টার দিকেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আক্কল আলীকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে আদালতের নির্দেশে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।  চলতি বছরের ১৩ জুন উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে এ লোম হর্ষক ঘটনাটি ঘটায় পাষন্ড আক্কল আলী।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মধ্যনগর থানাধীন জগন্নাথপুর গ্রামের এক দিনমুজুরের ওই শিশু কন্যাটি পাশের সাতুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পাষন্ড আক্কল আলী বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে থাকা তার একটি টিনের চালা ঘরে এক জগ টিউবওয়েলের পানি নিয়ে আসার জন্য ওই শিশুটিকে বলে। শিশুটি তখন আক্কল আলীর কথামতো তাদের ঘর থেকে একটি জগ ভর্তি পানি ও গ্লাসসহ ওই ঘরে যায়।

এসময় মেয়েটি ঘরে ঢুকা মাত্রই আক্কল আলী ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং সে গামছা দিয়ে মেয়েটির মুখ বেঁধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সে ওই ঘরে থাকা একটি ধারালো দা হাতে নিয়ে মেয়েটিকে বলে এ বিষয়টি যদি তুই কাউকে বলিস তবে আমি তোকে এই দা দিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে এই পুকুরের মাছের খাবার দেব। শিশুটি তখন পাষন্ড আক্কল আলীর এ হুমকির ভয়ে সে তার এ বিষয়টি মাসহ পরিবারের কাউকেই  জানায়নি।

 এ অবস্থায় গত প্রায় ১০-১২ দিন ধরে শিশুটির শারিরীক অবস্থা অস্বাভাবিক দেখে তার মায়ের মনে সন্দেহ দেখা দেয় এবং  তার মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি তার মায়ের কাছে সব কিছুই খুলে বলে। পরে মেয়েটিকে নিয়ে তার মা স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে যান এবং সেখানে ওই পল্লী চিকিৎসক মেয়েটির প্রাথমিক পরীক্ষা- নিরীক্ষা শেষে সে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়েছে বলে তার মাকে জানান। পাশাপাশি মেয়েটিকে নিয়ে পাশের কলমাকান্দা উপজেলা সদরে গিয়ে মেয়েটিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর জন্যও ওই চিকিৎসক মেয়েটির মাকে পরামর্শ দেন।

পরে ওই পল্লী চিকিৎসকের কথামতো এর দুইদিন পর মেয়েটিকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন পাশের কলমাকান্দা উপজেলা সদরের একটি প্যাথলজি সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষার পর মেয়েটি প্রায় সাড়ে তিন মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।  পরে নিরুপায় হয়ে মেয়েটির চাচা বাদি হয়ে ওই লম্পট আক্কল আলীকে আসামি করে মধ্যনগর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মধ্যনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সানোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই আমরা লম্পট আক্কল আলীকে গ্রেপ্তার করি এবং আজ রবিবার দুপুরে তাকে আদালতের নির্দেশে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।


এবিএন/ইমাম হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ